জ্বালানি সঙ্কটে অর্ধেক দিন অন্ধকারে ডুবে গাজা

বিদ্যুত্ ও জ্বালানি সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে আস্ত একটা পরিশোধন কেন্দ্র। আর এই বিপর্যয়ের মাশুল গুনছেন গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রের লক্ষাধিক বাসিন্দা। ম্যানহোল উপচে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। পাশাপাশি জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রটি উত্পাদন বন্ধ করে দেওয়ায় দিনে বারো থেকে চোদ্দ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে শহরে।

Updated By: Nov 21, 2013, 11:49 AM IST

বিদ্যুত্ ও জ্বালানি সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে আস্ত একটা পরিশোধন কেন্দ্র। আর এই বিপর্যয়ের মাশুল গুনছেন গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রের  লক্ষাধিক বাসিন্দা। ম্যানহোল উপচে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন।  পাশাপাশি জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রটি উত্পাদন বন্ধ করে দেওয়ায় দিনে বারো থেকে চোদ্দ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে শহরে।   
একটা আস্ত জনপদ ডুবে রয়েছে জলের তলায়। নোংরা, কাদা মাখা জল ডিঙিয়েই চলছে যাতায়াত। কয়েক দিনের নোংরা জমা জলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, চর্মরোগ। এই ছবি খাস গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রের। না কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়। বিপত্তির মূলে রয়েছে বিদ্যুত ও জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি পরিশোধনাগার। অবিলম্বে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে পরিস্থিতি বদলানোর সম্ভাবনা নেই। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দুর্গতরা। 
মিশরের সীমান্তবর্তী টানেলগুলি দিয়ে চোরাপথে যে জ্বালানি ঢুকত তা দিয়ে গাজার একমাত্র বিদ্যুত কেন্দ্রটির চাহিদা কিছুটা হলেও মিটত। কিন্তু  দুসপ্তাহ আগে টানেলগুলি দিয়ে চোরাপথে জ্বালানি আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুত  কেন্দ্রটিও উতপাদনও বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে শহরজুড়ে  দেখা দিয়েছে চরম বিদ্যুত সঙ্কট।
 
দীর্ঘসময় লোডশেডিং চলতে থাকলে শহরের অন্যান্য জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার  আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন গাজার পুরকর্তারা।

.