‘মেরা ইয়ার দিলদার ইমরান খান’, পাক প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিধু
পাক মাটিতে বসে পঞ্জাবের বিধায়ক নভজ্যোত্ সিং সিধু বলেন, দু’দেশের সরকারককেই বোঝা উচিত আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের এক আসনে পাক সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজোয়া এবং নভজ্যোত্ সিং সিধু। ইমরানের প্রধানমন্ত্রী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আলিঙ্গনের পাশাপাশি পাক সেনা প্রধানের সঙ্গে সিধুর এক আসনে বসা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় ভারতে। বৃহস্পতিবার সেই দৃশ্য ফের পুনরাবৃত্তি হল। আলিঙ্গনের ছবি দেখা না গেলেও বাজোয়া এবং সিধুকে পাশাপাশি বসতে দেখা যায়। এ দিন ‘বন্ধু’ ইমরানে শুধুই প্রশংসাই করলেন না, তাঁর উদ্দেশে একটি কবিতাও আওড়ালেন তিনি।
আরও পড়ুন- ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন রেহানা, এ বার চাকরি থেকে বরখাস্ত করল বিএসএনএল
পাক মাটিতে বসে পঞ্জাবের বিধায়ক নভজ্যোত্ সিং সিধু বলেন, দু’দেশের সরকারককেই বোঝা উচিত আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি। তিনি আরও বলেন, “আমার বাবা বলতেন পঞ্জাব মেল লাহোর পর্যন্ত যেত। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি পেশোয়ার ছাড়িয়ে আফগানিস্তান পর্যন্ত যেতে পারে।” এ দিন নরেন্দ্র মোদীর কথা টেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কাউর বাদল বলেন, বার্লিন দেওয়াল যদি ভাঙতে পারে, তা হলে ভারত-পাক তিক্ততা মিটতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে করতারপুর করিডর। পাকিস্তানের গুরুদ্বার দরবার সাহিব খুলে যাওয়ায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন হরসিমরত কাউর বাদল।
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসে পাক-মদত বন্ধ না হলে, সার্ক-এ অংশগ্রহণ করবে না ভারত, স্পষ্ট করলেন বিদেশমন্ত্রী
#WATCH: Navjot Singh Sidhu recites poetry in praise of Pakistan PM Imran Khan at the ground-breaking ceremony of #KartarpurCorridor in Pakistan. pic.twitter.com/DJqXG8pa4j
— ANI (@ANI) November 28, 2018
তবে, করতারপুর করিডর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলে বিশেষজ্ঞদের যে দাবি, তা খারিজ করে দেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, দু দশকের বেশি সময় ধরে করতারপুর করিডর তৈরির জন্য ভারত যে দাবি জানিয়ে আসছিল, আজ সেই দাবি বাস্তবে পরিণত হওয়ায় আমি ভীষণ খুশি। পাকিস্তানও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। কিন্তু করতারপুর করিডর কখনও দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না। সন্ত্রাস যতক্ষণ না পাকিস্তান সমূলে উত্খাত করছে, আলোচনা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানান সুষমা স্বরাজ। একই সুর শোনা যায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের গলায়। পাক সন্ত্রাসকে ইস্যু করেই ইমরান খানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর।