গুলশনের খুনে জঙ্গি ছিল শ্রদ্ধা কাপুরের অন্ধ ভক্ত, দেখাও করেছিল

আশিকী টু। শ্রদ্ধা কাপুরকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিল ও। শ্রদ্ধার সঙ্গে ভিডিও তুলে ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছিল, ”যখন আমি শ্রদ্ধার হাত ধরেছিলাম। শ্রদ্ধা কাপূর আপনি সুন্দরী!!”হ্যাঁ, শ্রদ্ধার সেই ভক্তই হলেন ঢাকার গুলশনে নারকীয় হামলায় জড়িত এক জঙ্গি। নাম নিবরাস ইসলাম। যারা গুলশনে ২০ জন পণবন্দীকে গলা কেটে খুন করে তাদেরই মধ্যে এক কসাই ও। তদন্তের পর গুলশনের কসাইদের পরিচয় জানা গেল। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ২০ থেকে ২১-এর মধ্যে।   

Updated By: Jul 4, 2016, 05:51 PM IST
গুলশনের খুনে জঙ্গি ছিল শ্রদ্ধা কাপুরের অন্ধ ভক্ত, দেখাও করেছিল

ওয়েব ডেস্ক: আশিকী টু। শ্রদ্ধা কাপুরকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিল ও। শ্রদ্ধার সঙ্গে ভিডিও তুলে ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছিল, ”যখন আমি শ্রদ্ধার হাত ধরেছিলাম। শ্রদ্ধা কাপূর আপনি সুন্দরী!!”হ্যাঁ, শ্রদ্ধার সেই ভক্তই হলেন ঢাকার গুলশনে নারকীয় হামলায় জড়িত এক জঙ্গি। নাম নিবরাস ইসলাম। যারা গুলশনে ২০ জন পণবন্দীকে গলা কেটে খুন করে তাদেরই মধ্যে এক কসাই ও। তদন্তের পর গুলশনের কসাইদের পরিচয় জানা গেল। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ২০ থেকে ২১-এর মধ্যে।   
পড়াশোনা জানা নিরবাসদের মগজধোলাই করে জঙ্গিপনার পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।

ওর ফেসবুক থেকে দেখা যাচ্ছে, ওর দিনগুলো কাটাত দেদার মজায়। বন্ধুত্ব করতে ভালোবাসত। অন্যান্য তরুণদের মতোই বন্ধুদের সঙ্গে হঠাত্‍ হারিয়ে যেত। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে ভালবাসত। ইংরেজিতে তুখোড় ছিল সে। ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছিল।

অশিক্ষা ও দারিদ্রকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গি বানানো নয়, আইএসের টার্গেট শিক্ষিত উচ্চবিত্ত পরিবারের যুবকরা। হায়দরাবাদ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের গুলশন, সর্বত্রই জঙ্গিরা শিক্ষিত, ধনী পরিবারের সন্তান। আই এসের এই নয়া কায়দাই এখন মাথা ব্যথার কারন গোয়েন্দাদের। কেননা, ইউরোপ থেকেও ঝাঁকে ঝাঁকে প্রতিষ্ঠিত মেধাবী যুবকরা যোগ দিচ্ছে জেহাদি দলে।  শিক্ষিত ধনী পরিবারের যুবকদের  মগজধোলাই করে দলে টানছে আইএস। বাংলাদেশের গুলশনে নিহত জঙ্গিরাও উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। এদের কয়েকজন বিদেশেও পড়াশোনা করেছিল। হায়দরাবাদে ধৃত আইএস জঙ্গিরাও শিক্ষিত মধ্যবিত্ত। ধৃতদের কয়েকজন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

বাংলাদেশের গুলশনে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করল পুলিস। এই দুজনকেই শনিবার সকালে ক্যাফে থেকে উদ্ধার করেছিল সেনাবাহিনী। আটকদের মধ্যে একজন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক। তার নাম হাসনত রাজা। দ্বিতীয় যুবকের নাম তাহমিদ হাসিব খান। সম্প্রতি কানাডা থেকে দেশে ফেরেন। দুজনের বক্তব্যেই বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। অন্যদিকে, পঞ্চম জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ পুলিস। তাদের দাবি, পঞ্চম তরুণ বগুরার বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম। স্থানীয় ব্রিকুষ্টিয়া মাদ্রাসার ছাত্র খায়রুল গত এক বছর ধরে নিখোঁজ। সাম্প্রতিক তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওয়ান্টেড ছিল সে। শুক্রবারের হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিল খায়রুল। দাবি গোয়েন্দাদের।

.