বরফে ঢাকা পড়া প্লেন ঠেলল যাত্রীরা (ছবিতে)
তাপমাত্রা তখন (-) ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে পুরো এলাকা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় তুষারঝড়ের ফলে প্লেনের পিছনের অংশ সম্পূর্ণ চাপা পড়ে গিয়েছিল বরফের তলায়। ঘোষণা করা হল প্লেনের পিছনের অংশ বরফের তলায় চাপা পড়ায় ব্রেক কাজ করছে না, তাই আর এই প্লেন ছাড়বে না। রাশিয়ার ইগারকা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে থাকা সেই প্লেনের যাত্রীদের তখন মাথায় হাত। এ বার কী করা...
ওয়েব ডেস্ক: তাপমাত্রা তখন (-) ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে পুরো এলাকা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় তুষারঝড়ের ফলে প্লেনের পিছনের অংশ সম্পূর্ণ চাপা পড়ে গিয়েছিল বরফের তলায়। ঘোষণা করা হল প্লেনের পিছনের অংশ বরফের তলায় চাপা পড়ায় ব্রেক কাজ করছে না, তাই আর এই প্লেন ছাড়বে না। রাশিয়ার ইগারকা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে থাকা সেই প্লেনের যাত্রীদের তখন মাথায় হাত। এ বার কী করা...
প্লেনের ৭০ জন যাত্রী সিদ্ধান্ত নিলেন বরফের চাদরে আটকে থাকা প্লেনকে ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
তারপর পাইলট সেই প্লেন আকাশে ওড়াবনে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ৭০ জন যাত্রী গান গাইতে গাইতে প্লেনকে ঠেলতে থাকলেন। তাঁদের মুখে তক গানের শব্দগুলি হল, কাম অন পুস, চলো জোরে ঠেলো।
কেউ আবার সুর দিয়ে গাইলেন, আসল মানুষ গাছ পুঁততে পারে, বাড়ি বানাতে পারে, প্লেন ঠেলতে পারে ('Real man can plant a tree, build a house, push a plane.')। সম্মিলিত চেষ্টায় প্লেন কিছুটা এগলো। তবে শেষ অবধি সোভিয়েত রাশিয়ার আমলের এই প্লেনটি ছাড়েনি।
Problems developed on one of the coldest days of the year because 'the wrong kind of grease was used for the landing gear' - unsuitable for Far North locations, it was reported