১৬ ঘণ্টা ২৩ মিনিট ধরে দীর্ঘতম পথে সফল উড়ান

ওয়েব ডেস্ক: আকাশে ননস্টপ ১৬ ঘণ্টা ২৩ মিনিট। বিশ্বের দীর্ঘতম উড়ানপথে বিন্দাস উড়ল বিমান। দোহা থেকে অকল্যান্ড। ফের অকল্যান্ড থেকে দোহা। ১১০০ কাপ চা-কফি পরিবেশন করলেন বিমানসেবিকারা। ২০০০ বোতল ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দিলেন যাত্রীরা।

দোহা থেকে অকল্যান্ড। দূরত্ব ১৪, ৫৩৫ কিলোমিটার। দীর্ঘতম উড়ানপথ। ননস্টপ বাণিজ্যিক উড়ান। ১৬ ঘণ্টা ২৩ মিনিটের বিমানযাত্রা। ওড়ার দূরত্ব যদি ধরা হয়, তাহলে দীর্ঘতম উড়ানপথ দিল্লি থেকে সানফ্রান্সিসকো। এই পথে চলে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। ১৫, ২৯৮ কিলোমিটার রাস্তা যেতে সময় লাগে ১৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। তবে দূরত্ব যখন পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে মাপা হয়, তখন দীর্ঘতম পথ দোহা থেকে অকল্যান্ড।

দোহা থেকে অকল্যান্ড। ফের অকল্যান্ড থেকে দোহা। আকাশ থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পা রাখে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি। পরদিন সেটি ফের উড়ে যায় দোহা। সময় লাগে ১৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। কাতার এয়ারওয়েজ কর্তপক্ষের দাবি,  লর্ড অফ দ্য রিংস এবং দ্য হবিট ট্রিলজি শুট করা হয় নিউজিল্যান্ডে। এই ছবিগুলো একসঙ্গে মেলালে যতক্ষণের ছবি হয়, তার  থেকেও বেশি সময়ের এই বিমানযাত্রা। ৪জন পাইলট বিমান উড়িয়ে নিয়ে যান। কেবিন ক্রুর সংখ্যা ১৫। ১১০০ কাপ চা ও কফি যাত্রীদের পরিবেশন করেন তাঁরা। ২০০০ বোতল ঠান্ডা পানীয় পরিবেশন করা হয়। ১,০৩৬টি লাঞ্চ ও ডিনার যাত্রীদের পরিবেশন করেন এয়ারহস্টেসরা।

গতবছর মার্চে বিশ্বের দীর্ঘতম ননস্টপ বাণিজ্যিক উড়ান চালায় এমিরেটস এয়ারলাইন। দুবাই থেকে অকল্যান্ডের ১৪,২০০ কিলোমিটার উড়ানপথটিই ছিল বিশ্বের দীর্ঘতম। দীর্ঘ এই উড়ানপথে কীভাবে সফলভাবে বিমান চালানো সম্ভব হচ্ছে? গত একযুগে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে প্রযুক্তির। ফলে, জ্বালানির ব্যবহার করা যাচ্ছে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। দীর্ঘসময় আকাশে থাকলেও কোনও সমস্যা হচ্ছে না বিমানের।  ভবিষ্যতে কি আরও এমন বিমান চলবে? মিলছে তেমনই ইঙ্গিত।