ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি, ফের অশান্ত মিশর

সাধারণ নির্বাচনের পরে নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে ফের অশান্ত মিশর। রবিবারও তাহরির স্কোয়্যারে রায়ট পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। হিংসায় আহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে। সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সাহায্যে বিক্ষোভকারীরা নিজের দাবি-দাওয়ার কথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

Updated By: Nov 20, 2011, 09:52 PM IST

সাধারণ নির্বাচনের পরে নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের  দাবিতে ফের অশান্ত মিশর। রবিবারও তাহরির স্কোয়্যারে রায়ট পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। হিংসায় আহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে। সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সাহায্যে বিক্ষোভকারীরা নিজের দাবি-দাওয়ার কথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ফলে শনিবার থেকে শুরু হওয়ায় আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া পড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতি আপাতত নির্বাচনী প্রচার বন্ধ রেখেছেন প্রার্থীরা।
হোসনি মুবারকের পদত্যাগেও যেন শান্তি ফিরছে না মিশরে। এ বছরের আঠাশে জানুয়ারি কায়রোর কেন্দ্রস্থল তাহরির স্কোয়্যারে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেটাই ছিল আরব বসন্তের উত্‍স। তার জেরেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন হোসনি মুবারক। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অফ আর্মড ফোর্সেস। এবার তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। চলতি মাসের আঠাশ তারিখ মিশরে সাধারণ নির্বাচন। অথচ ক্ষমতাশিন সেনা কাউন্সিলের ঘোষণা, নির্বাচিত জন-প্রতিনিধিদের নয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন ঘোষণা এখনও করেনি সেনা কাউন্সিল। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, সংসদীয় নির্বাচনের পরেও দেশের কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে রাখতেই, সেনা কাউন্সিলের এটা একটা কৌশল। এরই প্রতিবাদে বিগত কয়েকদিন ধরে কায়রোর তাহরির স্কোয়্যার অবস্থান বিক্ষোভে সামিল কয়েক হাজার মানুষ। শনিবার হঠাত্‍ই তাঁদের হঠাতে গেলে, রায়ট পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। হিংসায় দু`জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে নতুন করে অশান্ত মিশর। রবিবারও দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ হয়। আহতের সংখ্যাও হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট এবং ফেসবুকের দৌলতে তাহরির স্কোয়্যারের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্যান্য প্রান্তে। ফলে দিন দিন বাড়ছে সমর্থন। এঅবস্থায় ভোট প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রার্থীরা। মিশরের একটি উচ্চ আদালত আগেই ঘোষণা করেছে, আঠাশে নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে, প্রাক্তন শাসক দল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এর ফলে দেশে দুর্নীতি বাড়বে বললেই আশঙ্কা করছেন বিক্ষোভকারীরা।  

.