শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে অসুবিধা হবে না, জানাল ট্রাম্প প্রশাসন

বিচ্ছিন্ন শিশুদেরকে পরিবারের হাতে কতদিনে তুলে দেবে সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশকা নেই বলে জানা গিয়েছে। মেক্সিকো-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রলের নজরদারিতে শিশুদেরকে আলাদা করা হচ্ছে পরিবার থেকে

Updated By: Jun 24, 2018, 05:41 PM IST
শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে অসুবিধা হবে না, জানাল ট্রাম্প প্রশাসন
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: পিছু হটল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে যে আশঙ্কার আবহ তৈরি হচ্ছিল, তা উড়িয়ে দিয়ে হোয়াইট হাউস জানাল, বিচ্ছিন্ন শিশুদের চিহ্নিত করার উপযুক্ত তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। অর্থাত্ পরিবারের সঙ্গে ‘খাঁচায় বন্দি’ করে রাখা শিশুদের পুর্নমিলন করতে ট্রাম্প প্রশাসনকে  কাঠখড় পোড়াতে হবে না তা সাফ জানিয়ে দিল হোয়াইট হাউস।

আরও পড়ুন- রুশ আমন্ত্রণে মুন হ্যাঁ করলেও কুলুপ এঁটেছেন কিম

মার্কিন স্বাস্থ্য এবং মানব সম্পদ পরিষেবা দফতরের তরফে শনিবার ‘জিরো টলারেন্স’ এবং পরিবার পুনঃএকত্রীকরণের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওই রিপোর্টে জানানো হয়, সন্তানদের ফিরে পেতে আবেদন করতে পারে তার পরিবার। তাদের সন্তানকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত একটি হটলাইন পরিষেবা খুলেছে হোয়াইট হাউস। সোমবার থেকে শুক্রবার ওই সময়ের মধ্যে সন্তানের খোঁজ নিতে পারবে মা-বাবারা।

আরও পড়ুন- ‘আদর্শ মুসলিম রাষ্ট্র’ তৈরি করতে পাক নির্বাচনে লড়ছে ২৬৫ জঙ্গি

বিচ্ছিন্ন শিশুদেরকে পরিবারের হাতে কতদিনে তুলে দেবে সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশকা নেই বলে জানা গিয়েছে। মেক্সিকো-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রলের নজরদারিতে শিশুদেরকে আলাদা করা হচ্ছে পরিবার থেকে। শিশুদের রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য এবং মানব সম্পদ পরিষেবার তত্ত্বাবধানে অস্থায়ী কেন্দ্রে। অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট আটক করছে শিশুর পরিবারকে। গত বুধবার পর্যন্ত ২০৫৩ শিশুকে পরিবার থেকে আলাদা করে অস্থায়ী কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- সারা রাত রাস্তায় ডানা মেলে চড়ে বেড়ালেন সৌদি মহিলারা

অস্থায়ী কেন্দ্রে শিশুদের প্রতি অমানিবক অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শিশুদের কান্না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেড়াজাল পেরিয়ে নাড়া দিয়েছে গোটা বিশ্বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এহেন ‘কীর্তি’তে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ত হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এমনকী তাঁর স্ত্রী তথা ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্টের। এরপরই ‘শূন্য সহনশীলতা’ আইনে সংশোধন করতে তত্পর হয় ট্রাম্প প্রশাসন।

.