বাঁকুড়ায় হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে গিয়ে আহত ৪
ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় শতাধিক হাতির একটি দলকে তাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বাঁকুড়ার পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দারা। কিন্তু তাড়া খেয়ে একটি হাতি পাল্টা ধেয়ে আসে গ্রামবাসীদের দিকেই। চার যুবককে পিষে ফেলতে চেষ্টা করে হাতিটি। শেষ পর্যন্ত হাতিটিকে তাড়াতে সক্ষম হন গ্রামবাসীরা। ওই চার যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
বাঁকুড়া: ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় শতাধিক হাতির একটি দলকে তাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বাঁকুড়ার পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দারা। কিন্তু তাড়া খেয়ে একটি হাতি পাল্টা ধেয়ে আসে গ্রামবাসীদের দিকেই। চার যুবককে পিষে ফেলতে চেষ্টা করে হাতিটি। শেষ পর্যন্ত হাতিটিকে তাড়াতে সক্ষম হন গ্রামবাসীরা। ওই চার যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
ধানের জমিতে হাতি ঢুকে পড়া নতুন ঘটনা নয় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে। কিন্তু সেই হাতির দলকে তাড়াতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতার সামনে পড়তে হল বেলিয়াতোড় রেঞ্জের পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দাদের তা বোধহয় তাঁরা ভাবতেও পারেন নি। মঙ্গলবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে শতাধিক হাতির একটি দল ঢুকে পড়ে ধানের জমিতে। ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় হাতির দলটিকে তাড়াতে উদ্যোগী হন গ্রামবাসীরা। বেশিরভাগ হাতি তাড়া খেয়ে জঙ্গলে ফিরে গেলেও বাধ সাধে একটি হাতি। পাল্টা গ্রামবাসীদের তাড়া করে হাতিটি। প্রাণভয়ে ফসল পাহারা দেওয়ার জন্য তৈরি উঁচু মাচায় উঠে পড়েন চার যুবক। কিন্তু মাচাটি উপড়ে ফেলে ওই চার যুবককে পিষে ফেলার চেষ্টা করে মত্ত হাতিটি। শেষ পর্যন্ত জ্বলন্ত মশাল ছুঁড়ে কোনওরকমে হাতিটিকে এলাকাছাড়া করেন অন্য গ্রামবাসীরা।
আহত চার যুবককে প্রথমে বেলিয়াতোড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, বারবার জানানো সত্ত্বেও হাতি তাড়ানোর ব্যাপারে সেভাবে উদ্যোগী হয়না বনদফতর। ফলে প্রায়ই বিঘের পর বিঘে জমিতে ফসল নষ্ট হয় হাতির হানায়।