৬ কোটির কেলেঙ্কারি, উধাও চাল
চাল-কেলেঙ্কারি উত্তর দিনাজপুরে। প্রশাসনের নাকের ডগায়, চুরি হয়ে গেল ছ'কোটি টাকার চাল। তাও আবার খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের গুদাম থেকেই। কী করে পাচার হল এই বিপুল পরিমাণ চাল? কেউ দেখল না-জানল না? উঠছে এমন অনেক প্রশ্নই। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। সম্ভাবনা রয়েছে, সিআইডি তদন্তেরও।
ওয়েব ডেস্ক: চাল-কেলেঙ্কারি উত্তর দিনাজপুরে। প্রশাসনের নাকের ডগায়, চুরি হয়ে গেল ছ'কোটি টাকার চাল। তাও আবার খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের গুদাম থেকেই। কী করে পাচার হল এই বিপুল পরিমাণ চাল? কেউ দেখল না-জানল না? উঠছে এমন অনেক প্রশ্নই। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। সম্ভাবনা রয়েছে, সিআইডি তদন্তেরও।
এই গুদামেই থাকার কথা ছিল কুড়ি হাজার কুইন্টাল চাল। কিন্তু কোথায় কি! সব গায়েব। বাইরে এখন ঝুলছে তালা। গোডাউন সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে সবটাই চাল-সাফ হয়ে যাওয়ার পর।
উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুর। এখানেই রাজেশ বিয়ানি নামে এক ব্যক্তির গুদাম ভাড়া করে দীর্ঘদিন ধরেই চাল রাখত খাদ্য দফতর। এই চাল-চুরি কাণ্ড প্রথম সামনে আসে গত উনিশে জুলাই। অভিযোগ, খাদ্য দফতরের এক ইন্সপেক্টর গুদামে গিয়ে দেখেন প্রায় কুড়ি হাজার কুইন্টাল চাল গায়েব। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলায়। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে চলছে বিভাগীয় তদন্ত। কলকাতা থেকে বিশেষ দল জেলায় গিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, এখনই ঝেড়ে কাশতে নারাজ খাদ্য সরবরাহ দফতর। তবে আঙুল উঠছে তাদের দিকেও। উঠছে অনেক প্রশ্ন।
এত বিপুল পরিমাণ চাল একদিনে চুরি সম্ভব না। কেউ কিছুই জানল না একথা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য? কারোর একার পক্ষে এত পরিমাণ চাল চুরি অসম্ভব। তাহলে কারা জড়িত এই চাল-চুরি চক্রে? গোডাউনের সুরক্ষার দায় বর্তায় খাদ্য সরবরাহ বিভাগের ওপরও। তাঁরা কী করছিল?
নিয়মিতভাবে একজন অফিসারের গোডাউন পরিদর্শন করার কথা। তাঁর নজর এড়িয়ে কীভাবে চুরি হয়ে গেল কোটি কোটি টাকার চাল? কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। ভিতরের কারোর হাত না থাকলে এ কাজ যে অসম্ভব তা মেনে নিয়েছেন, খাদ্য সরবরাহ বিভাগের ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলারও।