অনুব্রতর নেপথ্যে...

একের পর এক ঘটনায় জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার। কিন্তু বারবারই ক্লিনচিট মিলেছে দলের তরফে। এমনকী অনুব্রতর হয়ে সাফাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। কী কারণে অনুব্রতর উত্থান? আর কেনই বা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আড়াল করতে চাইছে তাঁকে? ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট।

Updated By: Aug 16, 2013, 10:30 PM IST

একের পর এক ঘটনায় জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার। কিন্তু বারবারই ক্লিনচিট মিলেছে দলের তরফে। এমনকী অনুব্রতর হয়ে সাফাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। কী কারণে অনুব্রতর উত্থান? আর কেনই বা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আড়াল করতে চাইছে তাঁকে? ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট।
তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর বীরভূমে দলের একমাত্র বিধায়ক ছিলেন আশিস ব্যানার্জি। কিন্তু তাঁর নিজের কেন্দ্র রামপুরহাট বাদ দিয়ে তৃণমূল দলের সংগঠন তৈরির ক্ষেত্রে একেবারেই ব্যর্থ তিনি। তখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুশোভন ব্যানার্জি। পরে দল ছেড়ে দেন তিনি । দলের এই দুঃসময়ে হাল ধরেন অনুব্রত মণ্ডল। বিভিন্ন ব্লকে ঘুরে সংগঠন গড়ার কাজ শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে অনুব্রত মণ্ডল অনেকটাই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত, এমনকী স্কুল নির্বাচনগুলিতেও তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ফল করে।
কিন্তু গোলমাল শুরু হয় এরপরে। নানুরের বিধায়ক গদাধর হাজরা, সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ, খয়রাশোলের অশোক ঘোষের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতান্তর শুরু হয় অনুব্রতর। সাংসদ শতাব্দী রায়ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
 
তবে এতকিছুর পরেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কিন্তু মনে করে জেলায় সংগঠন টিঁকিয়ে রাখার প্রশ্নে এক এবং একমাত্র বিকল্প অনুব্রত মণ্ডলই। আর সেকারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেকনজরে রয়েছেন অনুব্রত। ফলে একের পর এক ঘটনাতে নাম জড়ালেও তাঁকে ক্লিনচিট দিচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে , অশোক ঘোষ খুনের ঘটনায় অনুব্রতকে রেহাই দিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের নজর কাড়ার চেষ্টা করেছেন সিউড়ির বিধায়ক স্বপন ঘোষ। উদ্দেশ্য একটাই, আগামী দিনে নিজেকে অনুব্রতর বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

.