মিলল না চমকপ্রদ পারফম্যান্সের রিওয়ার্ড, রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে আমন্ত্রিত হয়েই থাকতে হল অশোক ভট্টাচার্যকে

পারফরম্যান্স আছে কিন্তু রিওয়ার্ড নেই। শিলিগুড়ি পুরভোটে অপ্রত্যাশিত রেজাল্টের পরেও রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর শিকে ছেঁড়েনি অশোক ভট্টাচার্যের কপালে। পেয়েছেন আমন্ত্রিতের সান্ত্বনা পুরস্কার। সদস্য তালিকাতেও চমক নেই। সিপিআইএম আছে সিপিআইএমেই।   প্রকাশ কারাটের জায়গায় সীতারাম ইয়েচুরি। বিমান বসুর জায়গায় সূর্যকান্ত মিশ্র। শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড দখল। সিপিআইএম কি বদলাচ্ছে? সিপিআইএম কি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে? সাতবছরের একটানা হতাশার পর, তাজা হাওয়ার আশ্বাস ছিল বাতাসে। সেই বাতাস থমকে গেল আলিমুদ্দিনের দরজায়। দলীয় কর্মীদের ফের হতাশ করল রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তালিকা।

Updated By: May 22, 2015, 05:25 PM IST
মিলল না চমকপ্রদ পারফম্যান্সের রিওয়ার্ড, রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে আমন্ত্রিত হয়েই থাকতে হল অশোক ভট্টাচার্যকে

ব্যুরো: পারফরম্যান্স আছে কিন্তু রিওয়ার্ড নেই। শিলিগুড়ি পুরভোটে অপ্রত্যাশিত রেজাল্টের পরেও রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর শিকে ছেঁড়েনি অশোক ভট্টাচার্যের কপালে। পেয়েছেন আমন্ত্রিতের সান্ত্বনা পুরস্কার। সদস্য তালিকাতেও চমক নেই। সিপিআইএম আছে সিপিআইএমেই।   প্রকাশ কারাটের জায়গায় সীতারাম ইয়েচুরি। বিমান বসুর জায়গায় সূর্যকান্ত মিশ্র। শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড দখল। সিপিআইএম কি বদলাচ্ছে? সিপিআইএম কি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে? সাতবছরের একটানা হতাশার পর, তাজা হাওয়ার আশ্বাস ছিল বাতাসে। সেই বাতাস থমকে গেল আলিমুদ্দিনের দরজায়। দলীয় কর্মীদের ফের হতাশ করল রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তালিকা।

অমিতাভ বসু ও শ্যামলী গুপ্ত প্রয়াত। অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে নিরুপম সেন ও রঘুনাথ কুশারীকে চারজনের শূন্যস্থানে রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে এলেন শুধু মিনতি ঘোষ অশোক ভট্টাচার্য ও রামচন্দ্র ডোমের কপালে জুটল স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্যের সান্ত্বনা।

কার্যত একা লড়ে শিলিগুড়ি পুরসভায় বামেদের ক্ষমতায় এনেছেন। তারপরেও কেন ব্রাত্য অশোক ভট্টাচার্য? নেতারা দিচ্ছেন বয়স সীমার যুক্তি। অশোক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রের তাঁর বয়স যদি বাধা হয়, তাহলে বাকিদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম প্রযোজ্য নয় কেন? নেতারা নিরুত্তর। তবে বাংলা না পারলেও কেরল করে দেখিয়েছে।

কেরলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কোন নেতাকে আর রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে রাখা হয় না। রাজ্য নেতৃত্বে নতুন মুখকে জায়গা করে দিতেই কেরলে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।  তবে রাজ্য সম্পাদক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে উচ্চতর কমিটির যে কোনও নেতাই নিম্ন কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেনতাই বিশেষ কোনও বৈঠকে উচ্চতর কমিটির কোনও নেতার উপস্থিত থাকতে বাধা নেই।

দলীয় গঠনতন্ত্রেই সুযোগ রয়েছে, তবু কেন মুখ ফিরিয়ে রাজ্যের নেতারা? জেলায় জেলায় নিচুতলার কর্মীরা প্রশ্ন তুলছেন, তাজা রক্তের সন্ধানে কেন কেরল লাইনে হাঁটছে না রাজ্য সিপিআইএম? নেতারা এবারও নিরুত্তর। গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতায় বন্দি সিপিআইএম আছে সিপিআইএমেই।

 

.