উলুবেড়িয়ায় মদ্যপ যুবকদের হাতে প্রহৃত কর্তব্যরত সিভিক পুলিস

কর্তব্যরত সিভিক পুলিসকে বেধড়ক মার মদ্যপ যুবকদের। সবার চোখের সামনে। একবার নয়, দু-দুবার। শেষে যদিও সহকর্মী এবং সাধারণ মানুষের চেষ্টাতেই রক্ষা পান ওই সিভিক পুলিস কর্মী।  উলুবেড়িয়ার গরুহাটার ঘটনা। অভিযুক্তরা পলাতক।

Updated By: Feb 2, 2017, 11:32 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: কর্তব্যরত সিভিক পুলিসকে বেধড়ক মার মদ্যপ যুবকদের। সবার চোখের সামনে। একবার নয়, দু-দুবার। শেষে যদিও সহকর্মী এবং সাধারণ মানুষের চেষ্টাতেই রক্ষা পান ওই সিভিক পুলিস কর্মী।  উলুবেড়িয়ার গরুহাটার ঘটনা। অভিযুক্তরা পলাতক।

সরস্বতী পুজোয় ২-১০ ডিউটি ছিল উলুবেড়িয়ার গরুহাটার মোড়ে। পুজোর জন্য রাস্তায় যানজট ছিল অন্যদিনের চেয়ে বেশি। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ১টি মারুতি গাড়ি করে ৬-৭ জন যুবক এসে দাঁড়িয়ে পরে রাস্তার ওপর যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে। যানজট আর বাড়তে পারে। তাই  দাঁড়িয়ে না থেকে সরে যেতে বলেন সুজিত। যুবকেরা সবাই মদ্যপ ছিল বলে অভিযোগ। সুজিতের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেয় তারা। সেসময় গাড়ির নম্বর নোট করতে যান সুজিত। আর তখনই তাঁর পায়ে গাড়ির চাকা তুলে দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে মদ্যপ যুবকদের ৪-৫ জন।

সবার চোখের সামনেই চলতে থাকে মারধর। তবে কেউই বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি সিভিক পুলিসকর্মী সুজিত পাতলাকে। সহকর্মীরাও না। পরে কয়েকজন এগিয়ে এসে বাধা দিলে যুবকদের দল তখনকার মত চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে এসে সুজিতকে মেরেধরে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন যদিও সহকর্মী আর স্থানীয়দের চেষ্টাতেই রক্ষা পান সুজিত।

আরও পড়ুন- ভাঙড় আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে সিপিআইএম-এর সমাবেশ

বুকে, চোখে, মাথায়, পায়ে আঘাত নিয়ে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি সুজিত। ঘটনা বিস্তারিতভাবে ওপরমহলে জানানো হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা অধরাই। উত্সবের দিনে ভর সন্ধেয় প্রকাশ্য রাস্তায় সিভিক পুলিসের নিরাপত্তার এই হাল  কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে সবারই।

আরও পড়ুন- শোভন দরবারে এবার আরাবুল পুত্র হাকিমুল

.