রূপ কী রানি চোরো কা রাজা

রূপ কী রানি চোরো কা রাজা। গভীর রাতের হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে সুবেশা, মোহিনী নারী। পথচলতি  অনেক দুরপাল্লার লরির ড্রাইভারই গাড়ি থামাত সুন্দরীকে দেখে।  গাড়ি দাঁড়াতেই সুবেশা নারীর রুপ বদল। হাতে রিভলবার নিয়ে সে তখন আপাদমস্তক পুরুষ।  তরপর অবাধে লুঠপাট। টাকা পয়সা,গাড়ি মালপত্তর লুঠ করে চম্পট দিত ছদ্মবেশী ডাকাত। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের রোমাঞ্চকর এই রাতের কিসসা গল্পের মতো ঘুরে বেড়ায় বাসিন্দাদের মুখে।

Updated By: Mar 1, 2015, 01:50 PM IST
রূপ কী রানি চোরো কা রাজা

ওয়েব ডেস্ক: রূপ কী রানি চোরো কা রাজা। গভীর রাতের হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে সুবেশা, মোহিনী নারী। পথচলতি  অনেক দুরপাল্লার লরির ড্রাইভারই গাড়ি থামাত সুন্দরীকে দেখে।  গাড়ি দাঁড়াতেই সুবেশা নারীর রুপ বদল। হাতে রিভলবার নিয়ে সে তখন আপাদমস্তক পুরুষ।  তরপর অবাধে লুঠপাট। টাকা পয়সা,গাড়ি মালপত্তর লুঠ করে চম্পট দিত ছদ্মবেশী ডাকাত। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের রোমাঞ্চকর এই রাতের কিসসা গল্পের মতো ঘুরে বেড়ায় বাসিন্দাদের মুখে।

প্রায়ই শোনা যেত এই আজব ছিনতাইয়ের কথা। অনেকের চোখেও পড়েছে মাঝরাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সুবেশী নারীকে।

 কে এই রুপ কী রানি চোর কা রাজা? কতদিন ধরেই বা এই কারবার ফেঁদেছিল সে? দিনকয়েক আগেই ফাঁস হয়েছে আসল রহস্য। অপারেশন চালাতে কাঁকসার রাজবাঁধে ধরা পড়ে যায় ডাকু সর্দারের আট সাগরেদ। পালিয়ে যায় ডাকাতদলের মূল পাণ্ডা সহ তার দুই সাগরেদ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিস জানতে পেরেছে, ছদ্মবেশী ডাকু সর্দারের নাম শেখ  ডালিম।  তার প্ল্যানিংয়েই বছর দুয়েক ধরেই চলছিল এমন কারবার।

শেখ ডালিম। মূল অভিযুক্ত। বছর দুয়েক আগেই ডাকাতির হাতেখড়ি। বর্ধমানের ভোতারপারে বাড়ি। রাজমিস্তীরও ছিল ডাকাতদলে। ডানকুনি থেকে পানাগড় কাঁকসা পর্যন্ত ছিল ডাকাতির করিডর। হাইওয়ের ধারে ধাবার আশেপাশে ঘাঁটি গাড়ত এরা। লরি থামিয়ে ড্রাইবার খেয়েউঠে গাড়িতে ওঠার সময়ই টার্গেট করে নিত সেই গাড়ি। রাস্তায় হাত দেখিয়ে গাড়ি থামাত মহিলা রুপ ধার। রুপের মোহজালে কাবু করত ড্রাইভারদের। গাড়ি চলতে শুরু করলেই রুপ বদল। স্বরুপে শেখ ডালিম।

কীভাবে ধরা পরলেন ডাকাতরানী ওরফে শেখ ডালিম?

ডাকাতি চলছিল। কাঁকসা থানা এলাকার বিরুডিয়া রাজবাঁধের মাঝে এরকমই একটি অপারেশনের সময় চলে আসে স্থানীয় হোটেলের ছেলেরা। পুলিসকে খবর দেওয়া হয়।  স্থানীয় স্টেশন সহ বিভিন্ন জায়গায় ফাঁদ পাতে পুলিস। সকালে রাজবাঁধ স্টেশনে গায়ে কাদা মাখা আট যুবককে দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। তাদের আটক করে পুলিস। মূল অভিযুক্ত শেখ ডালিম সহ আর দুজনকে এখনও ধরা যায়নি।

.