আজ ফলতার জীবনদীপ নার্সিংহোমে যায় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি টিম
ফলতার বৈদ্য দম্পতির সঙ্গে শিশু পাচারে জড়িয়ে ছিল বেশ কয়েকজন চিকিত্সক। আপাতত তাঁদের খুঁজে বের করাই ফোকাস তদন্তকারীদের। আজ ফলতার জীবনদীপ নার্সিংহোমে যায় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি টিম। বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। ইতিমধ্যে গ্রেফতার শ্যামল-সাবিত্রী বৈদ্যকে জেরা করে CID।
ওয়েব ডেস্ক: ফলতার বৈদ্য দম্পতির সঙ্গে শিশু পাচারে জড়িয়ে ছিল বেশ কয়েকজন চিকিত্সক। আপাতত তাঁদের খুঁজে বের করাই ফোকাস তদন্তকারীদের। আজ ফলতার জীবনদীপ নার্সিংহোমে যায় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি টিম। বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। ইতিমধ্যে গ্রেফতার শ্যামল-সাবিত্রী বৈদ্যকে জেরা করে CID।
জীবনদীপ। নামে কি আসে যায়? ভাদুড়ার এই জীবনদীপ নার্সিংহোমে আলোর বদলে চলত শিশু পাচারের অন্ধকার কারবার। যার মুখ্য কারিগর মালিক হরিসাধান খাঁ ও তাঁর ছেলে প্রবীর। আর তাদের সঙ্গত করতেন নার্সিংহোমের আয়া সাবিত্রী বৈদ্য ও তাঁর স্বামী শ্যামল। শিশু পাচারের তদন্ত নেমে এই দুজনকে ফোকাস করছে তদন্তকারীরা।
সোমবার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিস কর্তারা। এখনও পর্যন্ত ১৫টি শিশু পাচারের কথা স্বীকার করেছে বৈদ্য দম্পতি। পুলিসের দাবি, পাচার হয়ে যাওয়া শিশুর সংখ্যা আরও বেশি। বৈদ্য দম্পতিকে জেরা করে সংখ্যাটা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের ভাবাচ্ছে আরও একটা বিষয়। বৈদ্য দম্পতির দাবি তাঁদের শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে বেশকয়েকজন চিকিত্সক।সেই চিকিত্সকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিস
বিমান বসুর প্রশংসা কুণাল ঘোষের মুখে
সূত্রের খোঁজে সোমবার ফলতা থানায় যায় CID আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ CID আধিকারিকরা জেরা করে বৈদ্য দম্পতিকে। শিশু পাচারের সময় তাঁরা কী করে নথি জাল করতেন? বিক্রির সময় কীকরে নথি জাল করা হত তানিয়ে বিস্তারিত জানতে জেরা করা হয় দুজনকে।
এদিন জীবনদীপ নার্সিংহোমে যান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি টিম। নার্সিংহোম থেকে একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। নথি খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্যকর্তারা বোঝার চেষ্টা করছেন শিশু পাচার চক্রে জীবনদীপের সঙ্গে আর কোন কোন নার্সিংহোম জড়িয়ে ছিল।