পূর্ব মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, হুগলিতেও প্লাবিত বহু অঞ্চল, কিছুটা উন্নতি পশ্চিম মেদিনীপুরে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পাঁশকুড়া, তমলুক, কোলাঘাট, ময়না ও নন্দকুমার ব্লকের প্রায় তিনশোটি গ্রাম প্লাবিত। বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কয়েকশো মানুষ ঘর ছাড়া। তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক জলের তলায়। পাঁশকুড়া পৌরসভার চোদ্দো নম্বর ওয়ার্ডের গড়পুরুষোত্তমপুরে কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন। ত্রাণ নিয়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ চরমে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পাঁশকুড়া, তমলুক, কোলাঘাট, ময়না ও নন্দকুমার ব্লকের প্রায় তিনশোটি গ্রাম প্লাবিত। বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কয়েকশো মানুষ ঘর ছাড়া। তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক জলের তলায়। পাঁশকুড়া পৌরসভার চোদ্দো নম্বর ওয়ার্ডের গড়পুরুষোত্তমপুরে কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন। ত্রাণ নিয়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ চরমে।
হুগলির খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি। খানাকুলের এক ও দু নম্বর ব্লকের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত। একমাত্র যোগাযোগকারী সড়ক মায়াপুর-গড়ের ঘাট রুটে জগদীশতলা এবং সাঁইবোনা এলাকায় পাকা রাস্তা জলমগ্ন। ঝুঁকি নিয়েই এখনও পর্যন্ত বাস চলাচল করছে । প্লাবিত হয়েছে খানাকুল দু নম্বর ব্লকের মারোখানা, জগতপুর, রাজহাতি, শাবলসিংহপুর, চিংড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ।
পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। জল নামতে শুরু করায়, ঘরছাড়াদের অনেকেই ত্রাণশিবির থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ঝাড়গ্রামে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোপীবল্লভপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা কী পরিস্থিতির মধ্যে আছেন, কতটা ত্রাণ পাচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসির ছাড়া জলে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাতটি ব্লক প্লাবিত। এগুলির মধ্যে রয়েছে গোপীবল্লভপুর এক ও দু-নম্বর ব্লক, নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম মহকুমার সাঁকরাইল, দাঁতন এক নম্বর ব্লক ও কেশিয়াড়ি ব্লক। জেলায় প্রায় এগারো হাজার কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বাইশ হাজার বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাষট্টিটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।