টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলবন্দি কয়েক হাজার মানুষ

টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন চারদিক। ধসে গেছে মাটির বাড়ি। কাজ নেই। দুবেলা জুটছে না খাবারও। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ও বীরভূমের বিভিন্ন ব্লকের জলবন্দি কয়েক হাজার মানুষ।

Updated By: Jun 1, 2013, 09:56 PM IST

টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন চারদিক। ধসে গেছে মাটির বাড়ি। কাজ নেই। দুবেলা জুটছে না খাবারও। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ও বীরভূমের বিভিন্ন ব্লকের জলবন্দি কয়েক হাজার মানুষ।
নিম্নচাপের অকাল বর্ষণে প্লাবিত বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম। জলবন্দি বিভিন্ন ব্লকের কয়েক হাজার পরিবার। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় শনিবার থেকে জল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারগুলির কোনও সুরাহা হয়নি এখনও।
 বৃষ্টিতে বাঁকুড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দুহাজার কাঁচাবাড়ি। তিন দিন পর জল নামতে শুরু করেছে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া-রানিবাঁধ রাজ্য সড়কের ওপর থেকে। সিমলাপাল, সারেঙ্গা ব্লকের বেশকিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
 পূর্ব মেদিনীপুরে খীরাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত আশেপাশের প্রায় পনেরোটি গ্রাম। জলবন্দি হয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কংসাবতী ব্যারাজ থেকে আচমকা জল ছাড়ার ফলেই বন্যা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুর ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের পাঁচটি গ্রাম।
 পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কংসাবতী নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। জলের তলায় চলে গেছে বহু ঘরবাড়ি। বহু মানুষ এখনও জলবন্দি।  কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ না পৌঁছনোর অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের কাছে ত্রাণের জন্য কাতর আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
 

.