খাগড়াগড়ের সেই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড

বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। তেমনই না ফাটা কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে ওই বাড়ি থেকে। সেগুলি, দামোদরের চরে নিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে পুলিস। কিন্তু, কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলকে না জানিয়ে কেন গ্রেনেডগুলি নিষ্ক্রিয় করা হল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। হ্যান্ড গ্রেনেড ছাড়াও ওই বাড়িতে মিলেছে, আল কায়দার গানের টেপ, প্রশিক্ষণের ভিডিও। মিলেছে একই ব্যক্তির একাধিক ভোটার কার্ড। উদ্ধার হয়েছে কেমিস্ট্রির বই এবং বিস্ফোরক। সমস্ত তথ্য এবং প্রমাণ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, রাজ্যে বড়সড় নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল খাগড়াগড়ের ওই বাড়িতে।

Updated By: Oct 5, 2014, 08:21 PM IST
খাগড়াগড়ের সেই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড

ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। তেমনই না ফাটা কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে ওই বাড়ি থেকে। সেগুলি, দামোদরের চরে নিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে পুলিস। কিন্তু, কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলকে না জানিয়ে কেন গ্রেনেডগুলি নিষ্ক্রিয় করা হল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। হ্যান্ড গ্রেনেড ছাড়াও ওই বাড়িতে মিলেছে, আল কায়দার গানের টেপ, প্রশিক্ষণের ভিডিও। মিলেছে একই ব্যক্তির একাধিক ভোটার কার্ড। উদ্ধার হয়েছে কেমিস্ট্রির বই এবং বিস্ফোরক। সমস্ত তথ্য এবং প্রমাণ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, রাজ্যে বড়সড় নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল খাগড়াগড়ের ওই বাড়িতে।

এদিকে, এই কাণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত পেলেন গোয়েন্দারা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে মৃত শাকিল গাজির স্ত্রী রাজেরা বিবিকে জেরার সুবাদেই এই সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে, শাকিল গত সাতবছর ধরে নদিয়ার করিমপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। কিন্তু সে আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। বিস্ফোরণকাণ্ডে সিমি-র যোগাযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তদন্তকারীরা। এই সূত্রে উঠে আসছে সিমি নেতা সাফদার নাগোরির নাম।

স্কুল জীবন থেকেই বোমা তৈরিতে হাতেখড়ি। তদন্তকারীদের জেরায় স্বীকার করলেন বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত দুই মহিলা। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজেরা বিবি ওরফে রুমি এবং তাঁর স্বামী শাকিল গাজির বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের বারবাগপুরে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাকিল গাজির। আমিনা বিবির বাড়ি মুর্শিদাবাদের উকুডিহা গ্রামে। তাঁর স্বামী আবুল হাকিম বীরভূমের দেউচার বাসিন্দা। বিস্ফোরণে জখম আবুল এখন হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। বিস্ফোরণের পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ওই ভাড়া বাড়ির পঞ্চম সদস্য সুভান মণ্ডল ওরফে স্বপন। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের উত্তরপাড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর বিস্ফোরণে জখম হওয়ার পর চিকিত্‍সা নিতে অস্বীকার করেছিলেন সুভান।

বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে গুরুতর জখম আবুল হাকিম। বছর খানেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন তিনি। তারপর একবার ঘরে ফেরানো হলেও, আর বাড়িতে থাকেননি হাকিম। বিস্ফোরণ কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অবাক হাকিমের বীরভূমের দেউচার বাড়ির আত্মীয়রা।

.