প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে বালি খাদান, অস্তিত্ব সংকটে মানা চরের ১০ হাজার বাসিন্দা

বীরভূমের পর বাঁকুড়া। ফের বালি খাদান বিতর্ক। প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে বালি খাদান চলার অভিযোগ। এর জেরে ক্রমশ এগিয়ে আসছে দামোদর নদ। অস্তিত্ব সংকটে দুর্গাপুর সংলগ্ন মানা চর। অভিযোগ, প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও বন্ধ করা যায়নি অবৈধ বালির কারবার।

Updated By: Mar 25, 2017, 01:08 PM IST
প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে বালি খাদান, অস্তিত্ব সংকটে মানা চরের ১০ হাজার বাসিন্দা

ওয়েব ডেস্ক : বীরভূমের পর বাঁকুড়া। ফের বালি খাদান বিতর্ক। প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে বালি খাদান চলার অভিযোগ। এর জেরে ক্রমশ এগিয়ে আসছে দামোদর নদ। অস্তিত্ব সংকটে দুর্গাপুর সংলগ্ন মানা চর। অভিযোগ, প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও বন্ধ করা যায়নি অবৈধ বালির কারবার।

দুর্গাপুর ব্যারেজ লাগোয়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বৈধ বালি খাদান রয়েছে। কিন্তু দুর্গাপুরের দিকে দামোদরের পাড়ে কোনও বৈধ বালি খাদান নেই। অথচ ব্যারেজের পাশেই সীতারামপুর থেকে  শ্রীরামপুর পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার দামোদরের পাড়, দীর্ঘদিন ধরে বালি মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, বছরের পর বছর দামোদর ও তার শাখানদীর মাঝখানের অংশে চর কেটে শয়ে শয়ে ট্রাকে বালি পাচার চলছে। সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে তুলে নেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকার বালি।

একসময় চরের দু পাড়ে ভাঙন রোধে সরকারি উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ লাগানো হয়। বালি মাফিয়ারা দিনের আলোয় সেই গাছও কেটে সাফ করে দিচ্ছে। চর জুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য বালি-খাদ। এখানেই উর্বর মানা চরের বিভিন্ন অংশে প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস। বিপন্ন তাঁদের অস্তিত্ব। প্রতিবাদের শেষ পথ হিসেবে এবার অনশন-আন্দোলনে বসেছেন তাঁরা।

অনশন শুরু হতেই পিছু হটেছে বালি মাফিয়ারা। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার সবকটি বালি খাদান। যদিও এখনও বহু খাদানে পড়ে রয়েছে বালি তোলার যন্ত্রপাতি। অবৈধ এই বালি কারবারের কথা মেনে নিয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বড়জোড়া ব্লক দফতর ও ভূমি রাজস্ব দফতর। কিন্তু বালির কারবার রুখতে ব্যবস্থা কোথায়? জবাব নেই এ প্রশ্নের।  

আরও পড়ুন, ৩২৮টি সংসার জোড়া লাগিয়ে, একাই অসাধ্যসাধন করে চলেছেন!

.