সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের অমানবিক কাজ, কানের দুলে ফি দিলেন রোগী!
কাটোয়ার সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। তাঁর প্রাইভেট চেম্বারে চিকিত্সা করাতে কানের দুল বন্ধক দিতে হল রোগীকে। কিন্তু চেম্বারে এত ভিড়, দুল বন্ধক দিয়ে টাকা আনতে দেরি হওয়ায় ডাক্তার দেখানোর লাইন মিস করে ফেলেন রোগী। ডাক্তার দেখাতে না পেরে চেম্বারের সামনেই অচেতন হয়ে পড়েন অসহায় রোগী।
ব্যুরো: কাটোয়ার সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। তাঁর প্রাইভেট চেম্বারে চিকিত্সা করাতে কানের দুল বন্ধক দিতে হল রোগীকে। কিন্তু চেম্বারে এত ভিড়, দুল বন্ধক দিয়ে টাকা আনতে দেরি হওয়ায় ডাক্তার দেখানোর লাইন মিস করে ফেলেন রোগী। ডাক্তার দেখাতে না পেরে চেম্বারের সামনেই অচেতন হয়ে পড়েন অসহায় রোগী।
কানের দুল বন্ধক দিয়েও ডাক্তারের কাছে পৌছাতে পারলেন না সালারের জুলি বিবি। সালার থেকে বাইশ কিলোমিটার দূরে বর্ধমানের কাটোয়া। কাটোয়া হাসপাতালে চিকিত্সক প্রণবানন্দ ঘোষ, কাটোয়া কাছারি রোডে জায়গা ভাড়া নিয়ে চেম্বার করেছেন। ভিড় সামলাতে একজন কর্মী রয়েছেন। বিজন সাহা। তিনি রোগীদের নম্বর স্লিপ দেন। নম্বর স্লিপ নিয়েছিলেন সালারের জুলি বিবি। দু বছরের ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। সঙ্গে ছোট ছেলে, নিয়ে আসা দুশ টাকার কিছুটা খরচ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিত্সা যেখানে ব্যবসা-সেখানে কী দু বছরের ছেলের জন্য টাকা খরচ হলে, ডাক্তার তার ফি কমান? কমাননি। চেম্বারের কর্মী বিজন জুলি বিবিকে কানের দুল বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়ে আসার পরামর্শ দেয়।
ডাক্তারের চেম্বারের কাছেই একটি সোনার দোকানে কানের দুল বন্ধক দিয়ে টাকা জোগাড় করে ফের ডাক্তার চেম্বারে যান। কিন্তু ততক্ষণে তার নম্বর পেরিয়ে গেছে। চেম্বারের কর্মী বলেন ডাক্তার দেখানো যাবে সব রোগীর শেষে। সারাদিনের ধকলে-আর সামলাতে পারেননি অসুস্থ জুলি বিবি। চেম্বারের সামনেই চেতনা হারান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জুলি বিবিকে নিয়ে যান কাটোয়া হাসপাতালে। এবার সেখানে উপস্থিত হন ডাক্তার প্রণবানন্দ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য রোগী তাঁর কাছে পৌছায়নি। তিনি বিষয়টা জানতেনই না।
চিকিত্সক বলছেন তিনি জানতেন না। কিন্তু তাঁর নিয়োগ করা কর্মী, কি তাঁর অনুমোদন ছাড়াই ফিজের জন্য এতটা অমানবিক হতে পারেন? প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।