লাঠিপেটা খেয়ে জামিন অযোগ্য ধারায় জেল

যাঁরা মার খেল, তাঁদের বিরুদ্ধেই দেওয়া হল জামিন অযোগ্য ধারা। মালদহে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায়, আরও একবার প্রশ্নে পুলিসের ভূমিকা। এঘটনায় ধৃত বারো জন সিভিক ভলেন্টিয়ার। তাঁদের বিরুদ্ধে 332, 333, 353-র মতো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যার মানে, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দিতে গুরুতর আঘাত। সবকটিই জামিন অযোগ্য ধারা। এছাড়াও বেআইনি জমায়েত, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, জাতীয় ও রাজ্য সড়ক অবরোধের দায়ে আরও একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।   

Updated By: Sep 15, 2015, 03:02 PM IST
লাঠিপেটা খেয়ে জামিন অযোগ্য ধারায় জেল

ওয়েব ডেস্ক: যাঁরা মার খেল, তাঁদের বিরুদ্ধেই দেওয়া হল জামিন অযোগ্য ধারা। মালদহে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায়, আরও একবার প্রশ্নে পুলিসের ভূমিকা। এঘটনায় ধৃত বারো জন সিভিক ভলেন্টিয়ার। তাঁদের বিরুদ্ধে 332, 333, 353-র মতো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যার মানে, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দিতে গুরুতর আঘাত। সবকটিই জামিন অযোগ্য ধারা। এছাড়াও বেআইনি জমায়েত, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, জাতীয় ও রাজ্য সড়ক অবরোধের দায়ে আরও একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।   

যাঁদের ওপর লাঠি চালাল পুলিস, তাঁদেরই বিরুদ্ধে দেওয়া হল জামিন অযোগ্য ধারা। এ কেমন বিচার? প্রশ্ন তুলল মালদায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সংগঠন।  এক সপ্তাহের মধ্যে ফের ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।  

গতকাল মালদায় এসপি অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে জড়ো হয়েছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তাদের ওপরই দফায় দফায় লাঠি চালিয়েছিল পুলিস। চার মহিলাসহ জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সিভিক পুলিস।

সিভিক পুলিসকর্মীদের ওপরই সোমবার মালদায় বেপরোয়া লাঠি চালায় পুলিস। একবার নয়, পরপর তিনবার।

কিন্তু কেন আন্দোলনে সিভিক ভলেন্টিয়াররা?

রাজ্যের সব জেলায় নির্দিষ্ট একটি তালিকার ভিত্তিতে কাজ পান সিভিক পুলিসকর্মীরা। কিন্তু মালদায় ছবিটা অন্যরকম। সৌজন্যে জেলার দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং সাবিত্রী মিত্র।

সিভিক পুলিস বিতর্ক
-----------
দুই মন্ত্রীর পছন্দের দুটি তালিকা। সেই তালিকা অনুযায়ী দফায় দফায় কাজ পান সিভিক পুলিসকর্মীরা। ফলে সিভিক পুলিসকর্মীরা সকলেই গড়ে ছমাস বেকার। বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রেও বৈষম্যের অভিযোগ। কাজ না করেও ওপরমহলের ঘনিষ্ঠতার সুবাদে বহু সিভিক পুলিসকর্মী বেশি বেতন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

আবার কাজ করেও অনেকে নিয়মিত বেতনে বঞ্চিত বলে অভিযোগ। এসবের প্রতিকার চেয়েই সোমবার আন্দোলনের ডাক দেন সিভিক পুলিস কর্মীরা।

আইটিআই কলেজের সামনে থেকে মিছিল করে এসপি অফিসে যাওয়ার জন্য এদিন সকালে জড়ো হন সিভিক পুলিসকর্মীরা। সেখানেই লাঠি চালায় পুলিস। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন সিভিক পুলিসকর্মীরা।

জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গেলে ফের লাঠি হাতে রুখে দাঁড়ায় পুলিস। একদল সিভিক পুলিসকর্মী এসপিঅফিসের সামনে পৌছে গিয়েছিলেন। পুলিসের টার্গেট হন তাঁরাও। বেলা বাড়াতেই বাড়তে থাকে জখমদের ভিড় বাড়তে থাকে মালদা হাসপাতালে।

খাতয়-কলমে পুলিসকর্মীদেরই ওপর বেপরোয়া এই লাঠিচালনায় অবশ্য কোনও অন্যায় দেখছেন  না মালদার পুলিসসুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসপি-র বক্তব্য
----------
একদল যুবকের জমায়েত ও অবরোধ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই নেমেছিল পুলিস। ইটবৃষ্টি শুরু হওয়ায় পাল্টা লাঠি চালায় পুলিস। জাতীয় সড়ক অবরোধমুক্ত করতেও পুলিসকে অ্যাকশন নিতে হয়।

.