অধিকার চাইলে পাওয়া যায় না অধিকার কেড়ে নিতে হয়, সিঙ্গুরে ঘোষণা মমতার
"অধিকার চাইলে পাওয়া যায় না, অধিকার কেড়ে নিতে হয়।" আজ সিঙ্গুরে টাটাদের অধিগৃহিত জমি ফেরানোর কাজের সূচনা করতে গিয়ে রাজ্যবাসীকে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামি ১০ নভেম্বরের মধ্যে বাম জমানায় অধিগৃহিত সেই জমির পুরোটাই ফেরানো হবে বলেও আজকের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন তিনি। সেই সঙ্গে জমি আন্দোলনের লড়াইকে স্মরণীয় করে রাখতে সিঙ্গুরকে মডেল হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনার কথাও আজ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়েব ডেস্ক : "অধিকার চাইলে পাওয়া যায় না, অধিকার কেড়ে নিতে হয়।" আজ সিঙ্গুরে টাটাদের অধিগৃহিত জমি ফেরানোর কাজের সূচনা করতে গিয়ে রাজ্যবাসীকে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামি ১০ নভেম্বরের মধ্যে বাম জমানায় অধিগৃহিত সেই জমির পুরোটাই ফেরানো হবে বলেও আজকের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন তিনি। সেই সঙ্গে জমি আন্দোলনের লড়াইকে স্মরণীয় করে রাখতে সিঙ্গুরকে মডেল হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনার কথাও আজ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিঙ্গুরে টাটা'দের ন্যানো গাড়ি তৈরির কারখানা গড়ার জন্য তত্কালীন বাম সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৯৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে। অভিযোগ ওঠে জমি অধিগ্রহন নীতি না মেনেই সেখানে জোর করে জমি নেওয়া হয়েছে। জমি ফেরানোর দাবি নিয়ে ততকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিঙ্গুরে শুরু হয় আন্দোলন। চলে টানা ২৬ দিনের অনশন আন্দোলনও। আন্দোলন, পাল্টা সরকারি চাপ...সব মিলিয়ে প্রাণ যায় ১৪জনের। অবশেষে ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে টাটা গোষ্ঠীর ততকালীন কর্ণধার রতন টাটা ঠিক করেন, সেখান থেকে প্রকল্প গুটিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। হয়ও তাই।
আরও পড়ুন- সিঙ্গুর আন্দোলন ও মমতার যাত্রা...একটি ইতিবৃত্ত
২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর সরকারের দায়িত্বে আসে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। শুরু হয় বাম সরকারের নেওয়া জমি ফেরানোর চেষ্টা। অবশেষে চলতি বছর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় সিঙ্গুরে বামেদের জমি অধিগ্রহণ নীতি ছিল ভুল। নির্দেশ দেওয়া হয় আগামি নভেম্বর মাসের মধ্যেই সেখানে জমি দাতাদের জমি ফিরিয়ে দিতে হবে।
নির্দেশ পাওয়া মাত্রই শুরু হয় কাজ। ঠিক করা হয় সময়ের আগেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে জমি। সেই অনুসারে পরচা দেওয়ার কাজ শুরু হয় গত মাস থেকেই। তবে, আজ ছিল সেই ঐতিহাসিক দিন। কারণ সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকেই আজ শুরু হল কৃষকদের জমি ফেরানোর কাজ। আজই ফেরানো হবে ৯০ একর জমি। ১০ নভেম্বরের মধ্যে ফেরানো হবে পুরো ৯৯৭ একর জমি বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ওই জমিতে নতুন করে চাষ শুরু করার জন্য বিলি করা হয় সর্ষে বীজও।