ফেলে দিতে হবে ৭০ হাজার লিটার দুধ, সঙ্কটে ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন
ফেলে দিতে হবে প্রায় ৭০ হাজার লিটার দুধ। এর জেরে গভীর সঙ্কটে মুর্শিদাবাদের ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন। আচমকাই এই সংস্থার কাছ থেকে দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিল্ক ফেডরেশন। ইউনিয়ন নিজের উদ্যোগে প্রায় ১ লক্ষ লিটার দুধ বিক্রির বন্দোবস্ত করলেও, এখনও ঘরেই পড়ে বিপুল পরিমাণ দুধ।
ওয়েব ডেস্ক: ফেলে দিতে হবে প্রায় ৭০ হাজার লিটার দুধ। এর জেরে গভীর সঙ্কটে মুর্শিদাবাদের ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন। আচমকাই এই সংস্থার কাছ থেকে দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিল্ক ফেডরেশন। ইউনিয়ন নিজের উদ্যোগে প্রায় ১ লক্ষ লিটার দুধ বিক্রির বন্দোবস্ত করলেও, এখনও ঘরেই পড়ে বিপুল পরিমাণ দুধ।
প্রায় ২ লক্ষ লিটার পর্যন্ত দুধ সংরক্ষণ করা যায় ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নে। এর বেশি হলে, দুধ ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায়ই থাকে না। এই ফেলে দেওয়ার পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে এই সংস্থায়। জেলার প্রায় ৩১৫টি সমবায় সমিতি থেকে ৫৫ হাজার লিটার দুধ রোজ সংগ্রহ করে ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন। গত একসপ্তাহে দুধ ঠিকঠাক সংগ্রহ হলেও, বিক্রি লাটে উঠেছে। হঠাত্ করে দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিল্ক ফেডারেশন।
এর আগে মিল্ক ইউনিয়নের পরিচালন বোর্ড ছিল কংগ্রেসের হাতে। ২ বছর আগে বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর নতুন করে আর বোর্ড গড়াই হয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, মিল্ক ইউনিয়নটিকে বাঁচাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে, কিছু পরিমাণ দুধ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেকটাই কম। সরকার এখনও কোনও ব্যবস্থা না নিলে, সঙ্কট বাড়বে বলেই আশঙ্কা কর্মীদের।