প্রসূতিদের জন্য রাজ্যে প্রথম অপেক্ষালয়

সুন্দরবনের প্রসূতি মায়েদের জন্য অভিনব উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। পাথরপ্রতিমায় সূচনা হল রাজ্যের প্রথম মাদার ওয়েটিং হাটের। রাজ্যের স্বাস্থ্য কল্যাণ দফতর ও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের যৌথ উদ্যোগে শুরু হল এই প্রকল্প।

Updated By: Jun 26, 2016, 08:47 AM IST
প্রসূতিদের জন্য রাজ্যে প্রথম অপেক্ষালয়

ওয়েব ডেস্ক: সুন্দরবনের প্রসূতি মায়েদের জন্য অভিনব উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। পাথরপ্রতিমায় সূচনা হল রাজ্যের প্রথম মাদার ওয়েটিং হাটের। রাজ্যের স্বাস্থ্য কল্যাণ দফতর ও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের যৌথ উদ্যোগে শুরু হল এই প্রকল্প।

নদীমাতৃক সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসন্ন প্রসবা মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে আসা খুবই সমস্যার।পরিবহন পরিকাঠামো ও পর্যাপ্ত জলযানের অভাবই এর মূল কারণ। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে পরিবার হাতুড়ে ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যায় প্রসূতি মায়েদের।প্রাণ হারাতে হয় অনেক মা ও সদ্যোজাতকেও। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসূতির ক্ষেত্রে সুন্দরবন পিছিয়েই ছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে প্রস্তাব পেয়ে স্বাস্থ্য ভবনের উদ্যোগে পাথরপ্রতিমায় সূচনা হল মাদারস ওয়েটিং হাটে। পাথরপ্রতিমা ব্লক হাসপাতাল চত্বরের অনুষ্ঠানে উফস্থিত ছিলেন বিধায়ক সমীর জানা, স্বাস্থ্য দফতরের ও ব্লকের মেডিক্যাল আধিকারিকরা। গর্ভবতী মহিলারা সম্ভাব্য প্রসবের ১০ দিন আগেই এই মাদার ওয়েটিং হাটে আসবেন। হাসপাতল চত্বরের পাশে একটি ভবনে এই হাটে ১০টি বেড রাখা হয়েছে। এখানে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য থাকবেন নার্সস্বাস্থ্য কর্মীরা। বিনামূল্যে তাঁদের জন্য থাকবে সুষম আহার। বিনোদনের জন্য টিভি ও ইন্ডোর গেমসের ব্যবস্থাও থাকবে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণের পর প্রসবের আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে প্রসূতিকে। জননী সুরক্ষা যোজনার অন্তর্গত এই প্রকল্প পরবর্তীতে সুন্দরবনের সন্দেশখালি ও গোসাবাতেও করা হবে। পিপিপি মডেলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সার্বিক বিবেকানন্দ সেবা সংস্থা এই পরিষেবা দেবে। 

.