সোমনাথের বাড়িতে সীতারাম, জল্পনা ঘর ওয়াপসির

সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বোলপুরের বাড়িতে সীতারাম ইয়েচুরি। দুপুর একটা নাগাদ তিনি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌছন। এরপর দুজন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। সোমনাথবাবুকে দলে ফেরাতেই এই বৈঠক কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। আজ বোলপুরে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চেও একসঙ্গে দেখা যাবে দুজনকে। 

Updated By: Jul 19, 2015, 03:52 PM IST
সোমনাথের বাড়িতে সীতারাম, জল্পনা ঘর ওয়াপসির

ওয়েব ডেস্ক: সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বোলপুরের বাড়িতে সীতারাম ইয়েচুরি। দুপুর একটা নাগাদ তিনি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌছন। এরপর দুজন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। সোমনাথবাবুকে দলে ফেরাতেই এই বৈঠক কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। আজ বোলপুরে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চেও একসঙ্গে দেখা যাবে দুজনকে। 

৭ বছর আগে এই জুলাই মাসেই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে দেয় সিপিএম। তখন দলে কারাট জমানা। সোমনাথকে দলে ফেরাতে বঙ্গ সিপিএমের একটা বড় অংশ গত কয়েকবছর ধরেই সরব। নেতৃত্বের ব্যাটন ইয়েচুরির হাতে যাওয়ার পর সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে।     

১৯৬৮ সালে সিপিএমের সদস্য হন। ৪০ বছর পর ঘটল বিচ্ছেদ। ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির প্রতিবাদে ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন প্রকাশ কারাট। আস্থা ভোটে সরকারের বিরুদ্ধে যাঁরা ভোট দেবেন, দলের সেই সাংসদদের তালিকায় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নামও রেখেছিলেন তিনি। বেঁকে বসেন সোমনাথ। জানিয়ে দেন, স্পিকার পদ দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে। তাই, দলের নির্দেশে মেনে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন না তিনি। আস্থা ভোটে জিতে যায় সরকার। স্পিকারের চেয়ার না ছাড়ার মাসুল দিতে হয় সোমনাথকে। 

২০০৮, ২৩ জুলাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করে সিপিএম। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সেই দিনটি ছিল, 'স্যাডেস্ট ডে অফ মাই লাইফ'। 

জ্যোতি বসুর অনুগামী সোমনাথের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আলিমুদ্দিনের বেশিরভাগই মেনে নিতে পারেননি। ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা নিয়ে কারাট লাইনের সঙ্গেও তাঁরা একমত ছিলেন না। প্রকাশ কারাটের ভুলের জন্যই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের রাস্তা খুলে যায়। যার জেরে এ রাজ্যে গদি যায় বামেদের। আলিমুদ্দিনে কান পাতলে এখনও শোনা যায় এই হা-হুতাশ।

বঙ্গ সিপিএমের অনেকেই চাইছেন সোমনাথ দলে ফিরুন। কিন্তু, গত ক-বছরে একবারের জন্যও অনুতাপ প্রকাশ করেননি সোমনাথ। ফিরতে চেয়ে দলকে চিঠি দিতেও তিনি নারাজ। সূত্রের খবর, তিনিও ফিরলেন আবার দলের সম্মান রক্ষাও হল - এমন একটা সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে। 

৮ জুলাই জ্যোতি বসুর জন্মদিনে সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যায় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। আর রবিবার তো তাঁর বাড়িই চলে গেলেন ইয়েচুরি। কারাট জমানায় যা ভাবাই যেত না। সিপিএমের নতুন সাধারণ সম্পাদক তাঁর পূর্বসূরির মতো কট্টরপন্থী নন। আলিমুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও খুবই
ভাল। তাই, ইয়েচুরির হাত ধরেই অশীতিপর সোমনাথের সিপিএমে প্রত্যাবর্তন ঘটবে কিনা তা নিয়ে দিনদিন বাড়ছে জল্পনা। 

.