চা বাগান বৈঠক ফলপ্রসু হল না

নিস্ফলা বৈঠক। আলিপুরদুয়ারের মানাবাড়ি চা বাগান খোলার উদ্যোগ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরোল না। শ্রমিকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বকেয়া বেতন না মেটানো হলে তারা কাজে যোগ দেবেন না। মালিকপক্ষও তাদের অবস্থান থেকে সরতে রাজি না হওয়াতেই বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

Updated By: Jun 27, 2016, 09:39 AM IST
চা বাগান বৈঠক ফলপ্রসু হল না

ওয়েব ডেস্ক: নিস্ফলা বৈঠক। আলিপুরদুয়ারের মানাবাড়ি চা বাগান খোলার উদ্যোগ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরোল না। শ্রমিকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বকেয়া বেতন না মেটানো হলে তারা কাজে যোগ দেবেন না। মালিকপক্ষও তাদের অবস্থান থেকে সরতে রাজি না হওয়াতেই বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে বন্ধ চা বাগান খুলতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। রবিবার মালবাজারের বন্ধ হয়ে যাওয়া মানাবাড়ি চা বাগান খোলার বিষয়ে চা বাগান কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রম দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকে ছিলেন উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম অধিকর্তা সমীর কুমার বসু, ডেপুটি শ্রম অধিকর্তা শ্যামল দত্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। যদিও দীর্ঘ বৈঠকের পরেও বাগান খোলার বিষয়ে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। চা বাগান কর্মীদের দাবি, কর্মীদের বকেয়া টাকা আগে মেটাতে হবে, তবেই তারা কাজে যোগ দেবেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বন্ধ হয়ে যায় মানাবাড়ি চা বাগান। এরমধ্যে বেশকয়েকবার প্রশাসনিক উদ্যোগেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। তবে কাজ হয়নি কিছুই। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মালিক ও শ্রমিকপক্ষ উভয়েই নিজেদের সিদ্ধান্তকে অনড় থাকার জন্যেই বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে নিষিদ্ধ স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার!

চা বাগান শ্রমিকদের অভিযোগ, বকেয়া টাকা ছাড়াও চাবাগান এলাকায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের কোনও পরিষেবা নেই। পানীয় জলের সঙ্কট থেকে বিদ্যুত কোনও পরিষেবাই মেলেনা।  মেরামতির অভাবে চা বাগান কর্মীদের আবাসন ভেঙে পড়ছে। পি এফ-গ্র্যাচুইটিও মেলেনা ঠিকমতো। যতক্ষণ না এই সমস্ত বিষয়ের কোনও সঠিক মীমাংসা হচ্ছে কাজে যোগ দেবেন না তারা।

.