বতর্মান আইন সংশোধন করে ভাঙচুর-তাণ্ডব বন্ধে আইন আরও কড়া হচ্ছে

ভাঙচুর-তাণ্ডব বন্ধে আইন আরও কড়া করছে সরকার। বতর্মান আইন সংশোধন করে তাতে একাধিক ব্যবস্থার সংস্থান করা হচ্ছে। এবার থেকে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে, UAPA আইনের ধাঁচে অভিযুক্তকে নিজেকে নিদোর্ষ প্রমাণ করতে হবে।  

Updated By: Jan 30, 2017, 07:56 PM IST
বতর্মান আইন সংশোধন করে ভাঙচুর-তাণ্ডব বন্ধে আইন আরও কড়া হচ্ছে

ওয়েব ডেস্ক: ভাঙচুর-তাণ্ডব বন্ধে আইন আরও কড়া করছে সরকার। বতর্মান আইন সংশোধন করে তাতে একাধিক ব্যবস্থার সংস্থান করা হচ্ছে। এবার থেকে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে, UAPA আইনের ধাঁচে অভিযুক্তকে নিজেকে নিদোর্ষ প্রমাণ করতে হবে।  

 

ভাঙড়ে বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন। রসপুঞ্জে দুর্ঘটনা বন্ধ ও ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতারের দাবি।আউশগ্রামে স্কুলের জমিতে অবৈধ নির্মানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। তিনক্ষেত্রেই টার্গেট পুলিস। নষ্ট সরকারি সম্পত্তি।

 

ভাঙড়-রসপুঞ্জ-আউশগ্রাম সাম্প্রতিক ঘটনা। কিন্তু, প্রতিবাদের নামে পুলিসের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের রোগটা এরাজ্যে অনেক পুরনো। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট মানে আসলে আম জনতার কষ্টের টাকার অপচয়। যাঁরা বুঝেও একথা বুঝতে চান না তাদের জন্য  কড়া দাওয়াইয়ের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা আইন আরও কড়া করার পথে হাঁটছে আইন দফতর।

 

বর্তমানের ওয়েস্ট বেঙ্গল  প্রিভেনশন অব ডিফেসমেন্ট অব পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্ট, ১৯৭৬-এ সংশোধনী আনছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করেছে আইন দফতর।

 

কি কি সংশোধনী আনা হচ্ছে? 

UAPA-র ধাঁচে কড়া আইন।

সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে অভিযুক্তকেই নিজেকে নিদোর্ষ প্রমাণ করতে হবে।

এতদিন পর্যন্ত পুলিসকে ধৃতের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে হত।

সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষেত্রে এতদিন সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ডের ব্যবস্থা ছিল।

সংশোধনীতে কারাদণ্ডের সর্বোচ্চ সময়সীমা বাড়িয়ে ৭ বছর করা হচ্ছে।

বর্তমান আইনে অভিযুক্তের জরিমানার পরিমান নির্ধারণ করত আদালত।

নয়া আইনে যে সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে তার বর্তমান বাজার অনুযায়ী অভিযুক্তের জরিমানা নির্দিষ্ট করা হবে।

বতর্মান আইনে শুধুমাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হত।

নয়া আইনে ব্যক্তির পাশাপাশি ভাঙচুরে জড়িত সংগঠন বা দলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইতিমধ্যেই আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে ফেলেছে আইন দফতর। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য শিগগিরি তা পাঠানো হচ্ছে রাজ্যমন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভার শিলমোহর পেলেই আগামী বাজেট অধিবেশনই সংশোধনী চূড়ান্ত আইনে রূপান্তরিত হবে।

.