স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


মে ৮! মা দিবস! মায়ের জন্য আবার নাকি বিশেষ দিন! ধুর। হয় নাকি কোনওদিন! মা ছাড়া জীবনের একটা মুহূর্তও ছিল নাকি কোনওদিন! ছিলাম যাঁর জন্য, রয়েছি যাঁর জন্য, থাকার প্রার্থনাও যে সবথেকে বেশি করে, তাঁর জন্য নাকি মাত্র ১ টা বিশেষ দিন! গোটা জীবনটাই তো মা - তোমারই জন্য।


আমার মা - তে পড়ে আসছি। বরং, মা দিবসের প্রাক্কালে শোনাই সেই গল্পটাই। যা বোধহয় সবাই জানেন। এই পৃথিবীতে মাকে নিয়ে যত গল্প শুনেছেন, তার মধ্যে এই গল্পটারই চল সবথেকে বেশি। তাই হতেই পারে এই গল্পটা আপনার জানা। সেক্ষেত্রে আর একবার পড়ে স্মৃতিতে হারিয়ে যান। ভালো লাগবে। আর যদি আপনার না জানা থাকে, তাহলে আর দেরি কেন? পড়ুন। মা না হলে রাগও করবে না। সে যে এতটাই মায়ার, রাগও করে না। তাহলে শুরু করি।


''অনেকদিন আগে এক গ্রামে এক মা আর তাঁর ছেলে বাস করতো। সেই ছেলে জীবনের নিয়মেই বড় হল। খানিক দূরের একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমও হল। দুজনই-দুজনকে বড় ভালোবাসতো। দিব্যি চলছিল প্রেম। কিন্তু শুধু প্রেম আর কতদিন হবে! বিয়েটাও তো করতে হবে। ছেলেটি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েই বসলো মেয়েটিকে। আপত্তি ছিল না মেয়েরও। শুধু ভাবী স্বামীকে একটাবারের জন্য পরীক্ষা করে নিতে চাইলো সে। তাই মেয়েটি বলল তাঁর প্রেমিককে, তুমি তো আমায় বেশি ভালোবাসো না। তুমি তো তোমার মাকেই ভালোবাসো। ছেলেটি আকাশ থেকে পড়ে বলল, না গো। আমি মাকেও ভালোবাসি আবার তোমাকেও খুব ভালোবাসি। কিন্তু মেয়েটির শুধু এই কথাতে মন গলবে কীভাবে! তাই সে সরাসরি বলল, আমাকে তুমি বোঝাও যে, তুমি তোমার মায়ের থেকেও আমাকে বেশি ভালোবাসো।


ছেলেটি পড়ল বেজায় ফাঁপড়ে। সে বলল, আচ্ছা বাবা, বলো তোমার জন্য কী করতে হবে? মেয়েটি তখন বলল, তুমি তোমার মায়ের হৃত্পিণ্ডটা কেটে নিয়ে এসে আমার হাতে দাও। তাহলেই বুঝবো যে, তুমি তোমার মাকে নয়, আমাকেই বেশি ভালোবাসো। ছেলেটি যে তখন প্রেমে পাগল। বলল, আচ্ছা, তুমি যখন চাইছো, তাহলে তাই হবে। তাই ছেলেটি চলল তাঁর বাড়িতে। আর ছুড়ি বসিয়ে দিল দিব্যি তাঁর মায়ের বুকে। মারা গেল ছেলেটির মা। ছেলেটি তখন মায়ের হৃত্পিণ্ডটা খুবলে নিয়ে বেরিয়ে আসতে গেল ঘর থেকে। যাতে তাঁর প্রেমিকাকে সে এবার বিয়ের করতে পারে। ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় ছেলেটি দরজার চৌকাঠে হোঁচট খেল। আর তাঁর হাত থেকে মায়ের হৃত্পিণ্ডটা ছিটকে পড়ে গেল দূরে। ছেলেটি সামলে নিয়ে উঠতে উঠতে শুনতে পেল, ওই হৃদপিণ্ডটা বলছে, 'আহা রে খোকা তোর লাগেনি তো?'


এই হল মা। বুঝলেন। আর কোনওদিন মাকে কষ্ট দেবেন না। কারণ, আমার-আপনার সেই ক্ষমতাই নেই, যা দিয়ে 'মা'কে কষ্ট দেওয়া যায়।