`ইন্টারনেট সেনসেশন` রানু মণ্ডল সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন!
রানু মারিয়া মণ্ডল তাঁর পুরো নাম
নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানে 'ইন্টারনেট সেনসেশন' বলা হচ্ছে তাঁকে। রানাঘাট স্টেশন থেকে যখন তাঁর স্বপ্নের উড়ান মুম্বইতে পৌঁছে যায়, সেই সময় প্রায় গোটা দেশ জুড়ে তাঁর গানই শোনা যায়। বুঝতেই পারছেন 'কলকাতার লতা মঙ্গেশকর' রানু মণ্ডলের কথাই বলা হচ্ছে। যে রানু মণ্ডলকে নিয়ে এত হইচই, তাঁর সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন?
জানা যাচ্ছে, রানু মণ্ডলের পুরো নাম হল রেণু রায়। পরে তিনি পরিচিত হন রানু মারিয়া মণ্ডল নামে। রানু ববি নামেও পরিচিত তিনি। কৃষ্ণনগরে জন্ম হয় রানু মণ্ডলের। ছোটবেলা কাটে রানাঘাটে তাঁর মাসির বাড়িতে। খুব ছোট বয়সে মাকে হারিয়ে, রানু বড় হন তাঁর মাসির কাছেই। খানিকটা অবহেলায় বড় হলেও ছোট থেকেই গানের উপর এক অমোঘ আকর্ষণ ছিল রানাঘাটের রানুর।
আরও পড়ুন : ছবি টুকে দিল সাহো! প্রভাসের সিনেমার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিসার
মাত্র ১৯ বছর বয়সে বাবলু মণ্ডল নামে এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় রানু মণ্ডলের। বিয়ের পর জন্ম হয় রানুর একমাত্র মেয়ে স্বাতীর।
বিয়ের পর স্বামী বাবলু মণ্ডলের সঙ্গে মুম্বইতে হাজির হন রানু। সেখানেই তিনি রানু মণ্ডল হিসেবে পরিচিত হয়ে বাণিজ্যনগরীর বিভিন্ন পানশালায় গান গাইতে শুরু করেন। যদিও পানশালায়া গান গাওয়া, তাঁর স্বামীর অপছন্দ ছিল। ফলে রোজগার হলেও খুব কম সময়ের মধ্যেই পানশালায় গান গাওয়া বন্ধ করে দেন রানু মণ্ডল। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নবভারত টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে রানু জানিয়েছেন, বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক, অভিনেতা ফিরোজ খানের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিন খান এবং তাঁর ভাই সঞ্জয় খানেরও দেখভাল রানু মণ্ডল করতেন বলে জানান।
আরও পড়ুন : অস্ট্রিয়ার হ্রদে গোলাপী বিকিনিতে সাঁতার কাটছেন মালাইকা, ভাইরাল ভিডিয়ো
স্বামী বাবলু মণ্ডলের মৃত্যুর পর মুম্বই থেকে রানাঘাটে ফিরে আসেন রানু। রানাঘাট স্টেশনে বসেই এরপর গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। দিন গুজরানের জন্য রানাঘাট স্টেশনে বসে গান গাওয়াকেই বেছে নেন বছর ৫৬-র ওই মহিলা। রানাঘাট স্টেশনেই এরপর বছর ২৬-এর ইঞ্জিনিয়র অতীন্দ্র চক্রবর্তীর নজরে আসেন তিনি। রানুর গান রেকর্ড করে অতীন্দ্র তাঁর ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। এরপরই ক্রমশ ভাইরাল হয়ে যান রানু মণ্ডল।
রানাঘাট স্টেশনে গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে যান রানু। এরপর রানাঘাট থেকে সোজা মুম্বইতে উড়ে যান। মুম্বই থেকে ফেরার পর আচমকাই রানুর সঙ্গে দেখা করতে হাজির হয়ে য়ান তাঁর মেয়ে স্বাতী। জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর পর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে রানাঘাটে হাজির হন তাঁর মেয়ে স্বাতী রায়।