প্রীতম দে: সিনেমা সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই তাঁকেই গুরু হিসাবে মেনেছেন সাড়ে তিয়াত্তরের পরিমল দে। বলতে পারেন, নয় নয় করে প্রায় অর্ধ দশক ওই মানুষটিকে নিয়ে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। উঠতে বসতে গুরুর ডায়লগ. চাল-চলন যাপন করেন নিজের মধ্যে। যখন শুনলেন গুরু করোনায় আক্রান্ত, মুষড়ে পড়েছিলেন। গুরুর ও তো বয়স হলো সাতাত্তর বছর। এই বয়সে করোনা আরও ভয়ঙ্কর ওঠে এমনটা তিনি শুনেছেন। কিন্তু যখন করোনাকে নিজেই চর্মচক্ষে দেখলেন এবং জয় করলেন, গুরুকে নিয়ে আর সেই ভয় কেটে গিয়েছে পরিমল বাবুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হ্যাঁ, পরিমল বাবুর সেই গুরু হলেন, সত্তর-আশির দশকের অ্যাংরি ইয়ং ম্যান অমিতাভ বচ্চন। গত ১২ জুলাই খবর আসে বলিউড সুপারস্টার বিগ-বি করোনা পজেটিভ। নিজেই টুইটে জানান সে খবর। তারপর থেকে নানাবতী হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন। সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিদিনই নিজেকে তুলে ধরেন অমিতাভ। করোনা চক্রব্যূহ থেকে তিনি ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন। আর সেই খবর থেকে চোখ সরাচ্ছেন না পরিমল বাবু।


আরও পড়ুন- এক্কেবারে সুস্থ আছেন, লাইভে হাজির হয়ে জানালেন রচনা বন্দোপাধ্যায়


পরিমল বাবুও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। অদ্ভুত সমাপতন যে এই জুলাইতে তিনিও করোনায় আক্রান্ত হন। আইসোলেশনে থাকাকালীন গুরুই ছিল তাঁর বেঁচে থাকা প্রেরণা। কখনও ল্যাপটপে, কখনও মোবাইলে অমিতাভে সিনেমা দেখছেন, তাঁর গান শুনছেন। এভাবেই এক একটা করে দিন কাটিয়ে সেরে উঠেছেন পরিমল বাবু। তিনি এখন নেগেটিভ। কিন্তু গুরু যে এখনও পজেটিভ এটা তাঁকে বিচলিত করছে। ৭৩ বছর বয়সে করোনা হারিয়ে পরিমল বাবু বুঝেছেন, মনের জোরই অন্যতম ওষুধ এই রোগের। গুরুর যে সবসময় আত্মবিশ্বাস বৃহস্পতিতে থাকে এ নিয়ে তিনি নিশ্চিত। তাই পরিমল বাবু কথায়, গুরুও এই করোনাকে ফুত্কারে উড়িয়ে একদিন বলবেন, ‘ডন কো পকরনা মুশকিল নেহি নামুমকিন হ্যায়।’ সেই খবরের আশায় এখন দিন গুনছেন চ্যালা পরিমলবাবু।