A Negative রক্ত পাওয়া গিয়েছে, আপাতত বিপন্মুক্ত অরিজিৎ সিংয়ের মা
স্বস্তিকার এই আবেদনে গোটা নেটমাধ্যমে সাড়া পড়ে যায়। পরে রক্ত পাওয়া গিয়েছে জানতে পেরে স্বস্তিতে অভিনেতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের একটা টুইট, তাতে বলিউডের পরিচালক অনুভব সিনহার রি-টুইট, ব্যাস, নেটমাধ্যমে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ল অরিজিৎ সিংয়ের মায়ের জন্য A negative রক্ত প্রয়োজন। ততক্ষণে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ব্লাড গ্রুপের রক্ত পৌঁছে গিয়েছে। কী হয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের মা অদিতি সিংয়ের?
এপ্রিলে ২২ তারিখে করোনা আক্রান্ত হয়ে জিয়াগঞ্জের এক নার্সিংহোমে ভর্তি হন অরিজিতের মা। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এবং শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় প্রথমে কলকাতায় আনার জন্য বেডের খোঁজ হতে থাকে। সেই মুহূর্তে বেড পাওয়া না যাওয়ায় এবং ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তাঁকে বহরমপুর মাতৃসদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ এপ্রিল রাতে চিকিৎসক Tocilizumab 600mg জোগাড় করতে বলেন। সেই সময়ে গোটা দেশে খোলাবাজারে ওষুধটি পাওয়া যাচ্ছিল না। এই প্রতিবেদকের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে এগিয়ে আসেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। সেই মুহূর্তে তিনি তখন ‘মসিহা’। বললেন, যথাস্থানে খবর পাঠাচ্ছেন এবং পরদিন সকাল অবধি অপেক্ষা করতে বলেন। এদিকে গোটা দেশের সমস্ত বড় ওষুধের কোম্পানিতে খোঁজখবর নেওয়া হয়ে গেছে, পরের সপ্তাহের আগে ওযুধ পাওয়া সম্ভব নয়, বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিপলা প্রধানও।
পরদিন সকালে দেব জানান, মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন। রাজ্য সরকারের কাছে সামান্য সংখ্যক ওষুধ আছে, তিনি স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছেন, বহরমপুর মাতৃসদনে সেই ওষুধ পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। অরিজিতকে ফোন করে সবরকমের সাহায্য করার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনও রাজ্যে ২ দফা নির্বাচন বাকি।
ওযুধ পাওয়া গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি হল না। ২৮ এপ্রিল মাকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে এলেন অরিজিৎ। ফুসফুসের অবস্থা এতটাই খারাপ, সোজা দিতে হল ভেন্টিলেশনে। চিকিৎসকদরে বক্তব্য, উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু খুবই ধীর গতিতে।
বুধবার রাতে হঠাৎই অরিজিতের মায়ের ব্রেন স্ট্রোকের খবর পাওয়া যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হয় অপারেশন। চিকিৎসকেরা জানান অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে। সেইসময়েই খোঁজ পড়ে A negative রক্তের। তাও পুরুষের, কারণ অদিতি দেবীর রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে গেছে। পুরুষের রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় বেশি। আপাতত বেশ কয়েকজন ব্লাড ডোনারের খোঁজ পাওয়া গেছে। সকালে ঐ বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দিয়েছেন কেউ কেউ।
স্বস্তিকার এই আবেদনে গোটা নেটমাধ্যমে সাড়া পড়ে যায়। পরে রক্ত পাওয়া গিয়েছে জানতে পেরে স্বস্তিতে অভিনেতা।