পুলিস কর্তার নাম করে ভিডিয়ো ভাইরালের হুমকি, আত্মহত্যা Ankush-র আপ্তসহায়কের
লালবাজারের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন পিন্টু দে-র বোন প্রিয়াঙ্কা দে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টাকা চেয়ে আসত হুমকি ফোন। ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। পুলিস কর্তার নাম করেই ভয় দেখানো হত তাঁকে। বেশ কয়েকবার এভাবেই তাঁর কাছ থেকে টাকাও আদায় করা হয়েছে। আর এই মানসিক চাপ না নিতে পেরেই আত্মহত্যা করেছেন অঙ্কুশ হাজরার আপ্তসহায়ক পিন্টু দে। এমনই অভিযোগ পিন্টু দে-র পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, নারকেলডাঙার বাসিন্দা পিন্টু দে সাইবার প্রতারণার শিকার। বৃহস্পতিবার লালবাজারের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন পিন্টু দে-র বোন প্রিয়াঙ্কা দে।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্তের অনুরোধে লালবাজারের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মার সঙ্গে কথাও বলেছেন অঙ্কুশ হাজরা। এবিষয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে অঙ্কুশ জানান, ''জয়েন্ট সিপি-র সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, উনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। বাপ্পাদা-র পরিবারের সঙ্গেও উনি ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। উনি বলছেন, রাজস্থানি একটা গ্যাং এই কাজকর্ম চালাচ্ছে, খতিয়ে দেখা হবে। বাপ্পাদা-র ফোনটাও পুলিস নিয়েছে তদন্তের জন্য।''
এধরনের প্রতারণার বিষয়টি কখনও টের পেয়েছিলেন? এই প্রশ্নে অঙ্কুশ জানান, ''আমার কাছ থেকে বাপ্পাদা বেশ কয়েক ক্ষেপে ২,৩,৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তবে বড় অঙ্কের টাকা কখনও চাননি। শেষবার ৫হাজার টাকা চেয়েছিলেন, কারণ হিসাবে অন্য কথা বলেছিলেন। এখন জানতে পারছি, উনি প্রতারকদের কাছে টাকা পাঠাতেন। বাপ্পাদা একটু চাপা স্বভাবের, আমাদের বিষয়টা বুঝতেও দেননি। যেদিন আত্মহত্যা করেছেন তার আগের দিনও ৭-৮ ঘণ্টা আমার সঙ্গেই ছিলেন। মারা যাওয়ার পরও যখন টাকা চেয়ে লাগাতার প্রতারকদের কাছ থেকে মেসেজ আসছিল, তখন বিষয়টা জানাজানি হয়। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল করার ভয় দেখানো হচ্ছিল, সেটা কী এখনও জানি না। সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ।''
আরও পড়ুন-কাছের মানুষের মৃত্যুতে শোকাহত Ankush-Oindrila
আরও পড়ুন-বিয়ের ১ বছরের মধ্যেই Rekha-র স্বামীর আত্মহত্যা, কী ঘটেছিল?
এই মামলায় লালবাজারের জয়েন্ট সিপি মুরলীধর শর্মার জানিয়েছেন, রাজস্থানের ভরতপুরের একটি গ্যাং বহুদিন ধরে এধরনের সাইবার প্রতারণার ঘটনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত ৬ মাসে এধরনের ৩-৪ অভিযোগ পুলিসের কাছে এসেছে। তাঁর আর্জি, এধরনের কোনও ফোন পেলে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
গত মঙ্গলবার নারকেলডাঙার ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার আপ্তসহায়ক পিন্টু দে-র ঝুলন্ত দেহ। নীলরতম সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর ময়না তদন্ত হয়। পিন্টু দে-র মৃত্যু পর শোকপ্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিতেও দেখা যায় অঙ্কুশ হাজরা ও ঐন্দ্রিলা সেনকে।