Chanchal Chowdhury: বাংলাদেশের চঞ্চল ‘হাওয়া’য় তোলপাড় কলকাতা...
Chanchal Chowdhury: বড়পর্দায় `হাওয়া` দেখতে লম্বা লাইন, পাস নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চঞ্চল চৌধুরীর ‘হাওয়া’ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। বাংলাদেশের মতোই এপার বাংলাতেও ক্রমবর্ধমান তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা। তারই প্রমাণ মিলল নন্দনে এবছরের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে।
Chanchal Chowdhury, Hawa, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘড়িতে সকাল ৮টা, অন্যান্য দিনের মতোই বন্ধ নন্দন চত্বরের মেন গেট। কিন্তু বন্ধ গেটের বাইরে ধীরে ধীরে বাড়ছে ভিড়। প্রথম শো রয়েছে দুপুর ১টায়, কিন্তু সকাল ৮টা থেকে জমায়েত কীসের? পথচলতি মানুষের চোখে হাজারও জিজ্ঞাসা। সিনেপ্রেমীরা অবশ্য জানেন এই প্রশ্নের উত্তর। এ.জি.সি বোস রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তায় জমায়েত হলে মুশকিল তাই অগত্যাই খুলে দেওয়া হল নন্দনের গেট। একে একে সবাই এসে লাইন দিলেন নন্দন ১-এর প্রধান প্রবেশ পথের সামনে, করে দেওয়া হল ব্যারিকেড, ধীরে ধীরে সেই লাইন ১০টার মধ্যে পার করে ফেলল শিশির মঞ্চ। সেখানেই শেষ নয়, চোখ যতদূর যায় শুধুই মানুষের লাইন। শিশির মঞ্চের গা ঘেঁষে লাইন চলে গেছে গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালার পিছনের পুকুড়পাড় অবধি। আসলে তাঁদের এই অধীর অপেক্ষার কারণ হল ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ‘হাওয়া’ ছবির প্রদর্শন।
বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছে এই ছবি। বাংলাদেশের ৬৭ টি হলে হাউসফুল ছিল 'হাওয়া'র প্রথমদিনের শো। তবে শুধু প্রথমদিনই নয়, টানা হাউসফুলের তকমা পেয়েছে ‘হাওয়া’। এমনকী চঞ্চল চৌধুরী নিজেও এই সিনেমা দেখতে হলে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু টিকিট পাননি, তিনি নিজেই সেকথা জানান সংবাদমাধ্যমে। শনিবার সরাসরি দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখতে নন্দনে হাজির তিনি। ছবি শেষে সরাসরি তাঁদের থেকেই জেনে নেবেন প্রতিক্রিয়া। তবে ছবি শুরুর আগের লাইন থেকেই তিনি অনুমান পেয়ে গেছেন যে ইতিমধ্যেই তাঁর চানমাঝির ‘হাওয়া’য় উত্তাল কলকাতা।