Mayoori Kango: IIT ছেড়ে বলিউডে পা, সাফল্য না পেয়ে এখন গুগলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই অভিনেত্রী...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অভিনেত্রী ময়ূরী কাঙ্গোর(Mayoori Kango) গল্প একদিন যেমন ইন্টারেস্টিং তেমনই অনুপ্রেরণাও দেয়। বলিউডের উঠতি মুখ ছিলেন এই অভিনেত্রী। ১৯৯৬ সালে 'পাপা কেহতে হ্যায়'(Papa Kehte Hain) ছবির পর তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। 'ঘর সে নিকলতে হ্যায়'-এর(ghar se nikalte hi) জনপ্রিয় গানে তাঁর স্মৃতি আজও দর্শকের স্মৃতিতে ঝলমলে। এই ছবির এক বছর আগে তিনি ১৯৯৫ সালে নাসিম চলচ্চিত্রে ডেবিউ করেন। পরে তিনি 'হোগি পেয়ার কি জিত্' ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০০ সালে তাঁর শেষ ছবি 'ভ্যামসি'।

নার্গিস, থোড়া গাম থোড়ি খুশি, ডলার বাবু, কিটি পার্টির মতো টেলিভিশন অনুষ্ঠানও করেছেন ময়ূরী । ১৯৯৫ সালে তাঁর নাসিম ছবি দেখে তাঁকে পাপা কহেতে হ্যায় অফার করেন মহেশ ভাট। তখন ক্লাস টুয়েলেভে পড়তেন ময়ূরী। এরপরে তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে সুযোগ পেলেও সাফল্য পাননি। মহেশ বাবু ও নম্রতা শিরোদকারের সঙ্গেও একটি ছবিতে দেখা যায়। তাঁর অভিনীত ১৬ টি ছবি মুক্তি পায়নি। ২০০৩ সালে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেন এবং ঔরঙ্গাবাদে এনআরআই আদিত্য ধীলনকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর বরের সঙ্গে ময়ূরী পাকাপাকিভাবে আমেরিকায় চলে যান। সেখানে মার্কেটিং ও ফিনান্সে এমবিএ করেন অভিনেত্রী। বারুক কলেজ জিকলিন স্কুল অফ বিজনেস থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০১২ আমেরিকায় চাকরি করেন ময়ূরী। এরপরেই ২০১৩ সালে ভারতে ফিরে আসেন তিনি। তাঁর এক সন্তান রয়েছে। সন্তানের নাম কিয়ান।

ভারতে ফিরে পরবর্তীকালে পারফরমিক্স নামক এক কোম্পানিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে চাকরি করেন। ২০১৯ সালে তিনি গুগল ইন্ডিয়াতে জয়েন করেন এবং পরবর্তীকালে তিনি ইন্ডাস্ট্রি হেড হন। তাঁর লিঙ্কডিন প্রোফাইলে চোখ রাখলেই দেখা যায় ২০১৯ সাল থেকে গুগল ইন্ডিয়াতে হেড অফ ইন্ডাস্ট্রি-এজেন্সি পার্টনারশিপ পদে চাকরি করেন। কানপুর আইআইটিতে চান্স পেয়ে সেই সময় পড়েননি ময়ূরী কারণ তখন তিনি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বর্তমানে তিনি গুগলে কর্মরত, সেই গুগলের হেড আরেক ভারতীয় সুন্দর পিচাই, যিনি নিজেও আইআইটি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছে।

ময়ূরীর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে লেখা আছে, ‘আমি মনে প্রাণে একজন মার্কেটার। আমি ডিজিটাল মিডিয়া এবং নতুন জগতে বিপণনের সম্ভাবনা সম্পর্কে সবকিছু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমি সব সময় নতুন কিছু শিখতে চাই এবং নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চাই। আমার প্রাথমিক উদ্দেশ্য আমার ক্লায়েন্ট এবং কোম্পানিকে সর্বোত্তম ব্যবসায়িক সমাধান সরবরাহ করার জন্য একজন সচেতন বিপণনকারী হওয়া’।