`চিন্তা করো না, শীঘ্রই দেখা হবে`, কাছের মানুষের চিঠি সামনে আনলেন Porimoni
জীবনের কঠিন এই সময়ে দাদুই বাবা-মা হারা পরীমণির সব শক্তির উৎস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন, পরে আরেকটু বড় হয়েই বাবাকেও হারান। এরপর থেকে পিরোজপুরে দাদু শামসুল হক গাজীর কাছেই মানুষ হন পরীমণি (Porimoni)। অভিনেত্রীকে যখন জেলে, যখন তাঁকে বিচারের জন্য আদালতে তোলা হয়েছিল, ঠিক তখন আদরের নাতনিকে একবার দেখাল আশায় আদালতের সামনে হাজির হয়েছিলেন পরীমণির ১০০ বছর পার করা বৃদ্ধ দাদু। যদিও নাতনির সঙ্গে দেখা হওয়ার ইচ্ছা পূরণ হয়নি বৃদ্ধ শামসুল হক গাজীর। তবুও জীবনের কঠিন এই সময়ে দাদুই বাবা-মা হারা পরীমণির সব শক্তির উৎস। আর সেকথাই সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।
জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার হাতে লেখা একটি চিঠি নিজের ফেসবুকের পাতায় শেয়ার করেন পরীমণি (Porimoni)। ক্যাপশানে লেখা 'একটা চিঠি। আমার সব শক্তির গল্প এখানেই।' আর ছোট্ট ওই চিঠিতে লেখা, 'নানু আমি ভালো আছি। কোনো চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শিগ্রই দেখা দিব।' 'নানু' শব্দটি দেখে প্রশ্ন জানতে পারে চিঠিটি কে কাকে লিখেছেন? তবে চিঠির নিচে রয়েছে পরীমণির দাদু শামসুল হক গাজীর সই। তা থেকেই বোঝা যায় এটি অভিনেত্রীর দাদু নাতনি পরীমণিকে লিখেছেন। আদর করে 'নানু' বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- পুলিস আধিকারিকের ঠোঁটে ঠোঁট, এবার ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুললেন Pori Moni
আরও পড়ুন-'আমি ছাড়া ওর আর কেউ নেই',নাতনিকে না দেখতে পেয়ে আদালতে আবেগতাড়িত পরীমণির বৃদ্ধ দাদু
তবে এই ছোট্ট চিঠিটি কীভাবে তাঁর শক্তির উৎস সে প্রশ্নে পরীমণি (Porimoni) নিজেই বাংলাদেশের এক সংবাদ-মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ''আমি গ্রেফতার হওয়ার পর নানু ভাই আমাকে চিঠিটি দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই আমি এটি অক্ষত রাখার চেষ্টা করেছি। আটক, রিমান্ড, জেলসহ নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত আমি এটি অক্ষত রাখতে পেরেছি। এই চিঠিটি আমার জীবনের একটি শক্তি।''
এর আগে নাতনির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ-মাধ্যমকে শামসুল হক গাজী বলেছিলেন, ''ও নিজের সারাটা জীবন মানুষের জন্য করে এসেছে। কিন্তু এখন ও পরিস্থিতির শিকার। নিজের একটা ফ্ল্যাট করে নাই... কিছু করে নাই। এফডিসি-তে প্রত্যেক বছর ঈদে গরিব-দুঃখীদের জন্য কোরবানি করে । নিজের জন্য সে নিজে কিছুই করে নেই। সে সব মানুষের জন্য বিলিয়ে দেয়।''