আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ কঙ্গনার, পাল্টা মানহানির মামলা অভিনেতার
আদিত্য পাঞ্চোলি জানান, `` হ্যাঁ এটা সত্যি, যে আমি কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা দায়ের করেছি।``
নিজস্ব প্রতিবেদন: কঙ্গনা ও আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে লড়াই এবার আদালত পর্যন্ত গড়াল। কঙ্গনা রানাওয়াত ও তাঁর বোন রঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে আন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করলেন অভিনেতা আদিত্য় পাঞ্চোলি ও তাঁর স্ত্রী জারিন ওয়াহাব। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে আদিত্য পাঞ্চোলি জানান, '' হ্যাঁ এটা সত্যি, যে আমি কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা দায়ের করেছি। পাশাপাশি, দেওয়ানি মানহানি মামলা দায়ের করার অপশানও খোলা রেখেছি।''
আদিত্য পাঞ্চোলির অভিযোগ, '' বহুদিন ধরেই কঙ্গনা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলেও কঙ্গনা মুখ খুলেছে। শুধু তাই নয় কঙ্গনা এই বিষয়টিতে আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকেও টেনে আনা হয়েছে, যা এক্কেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি সবকিছু মেনে নিয়ে বসে থাকার পাত্র নই। এতদিন কঙ্গনা যে অভিযোগ গুলো এনেছে এবার সেটা ও পারলে প্রমাণ করে দেখাক।''
আরও পড়ুন-বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় সরব মহেশ ভাট
এমনকি কঙ্গনার আইনজীবী তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনারও হুমকি দিয়েছেন বলে জানান আদিত্য পাঞ্চোলি। তাঁর কথায়, ''অভিনেত্রীর আইনজীবী আমাকে হুমকি দেন আমি মানহানির মামলা তুলে না নিলে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হবে। আমি অভিনেত্রীর আইনজীবীর সঙ্গে ১৮ মিনিটের কথোপকথনের ভিডিও পুলিসের কাছে জমা দিয়েছি।''
আরও পড়ুন-অপুর ভূমিকায় দেখা যাবে না বাংলাদেশের আরিফিন শুভকে
জানা যাচ্ছে, কঙ্গনা ও রঙ্গোলির কাছে এর আগেই ক্ষমা চাইতে বলে আইনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন আদিত্য পাঞ্চোলির স্ত্রী জারিন ওয়াহাব। তবে সেই চিঠির কোনও ঠিকঠাক জবাব না পেয়েই তাঁরা এই মানহানির মামলা দায়ের করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত এক মাস আগেই অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে কঙ্গনাকে শারীরিক নিগ্রহ ও হেনস্থা করার অভিযোগ এনে ভারসোভা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রীর বোন রঙ্গোলি চান্দেল। এমনকি আদিত্য পাঞ্চোলির এই নিগ্রহের ঘটনার বিষয়ে তাঁর স্ত্রী জারিনও ওয়াহাবও সব জানেন বলে দাবি করেন কঙ্গনার বোন। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ভারসোভা থানা। তবে যেহেতু ঘটনা ১৩ বছর আগেকার তাই এই ঘটনার তদন্তের সাপেক্ষে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন বলে জানায় ভারসোভা থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত, ২০১৭তে দেওয়া একধিক সাক্ষাৎকারে আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে যৌন ও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন কঙ্গনা। এমনকি আদিত্য তাঁক একটি ঘরে আটকে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। কঙ্গনার কথায়, সেসময় তিনি জানালা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে বেঁচেছিলেন।