Jacqueline Fernandez, Nora Fatehi, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জ্যাকলিনের পর এবার নোরা ফতেহি। ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় এবার নোরা ফতেহিকে জিজ্ঞাসাবাগ করল দিল্লি পুলিসের ইকনমিক উইংস। সূত্রের খবর, শুক্রবার নোরাকে প্রায় ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। টানা ৭ ঘণ্টা জেরা করা হয় অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী নোরা ফতেহিকে। প্রসঙ্গত এই তোলাবাজির মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে দিল্লি পুলিসের ইকনমিক উইংসের দায়ের করা FIR-এর ভিত্তিতেই এই আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত চালাচ্ছে ED (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার, দিল্লি পুলিসের ইকনমিক উইংসের জেরায় প্রায় ৫০টিরও বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় নোরা ফতেহিকে। সুকেশের সঙ্গে তাঁর কীভাবে পরিচয়? কীভাবে সম্পর্ক এগলো? কীকী উপহার পেয়েছেন? জ্যাকলিনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা? এমনই নানান প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর জেরায় পুলিসকে সহযোগিতা করেছেন নোরা। 


২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ নিবারণ আইনের ৫০ নম্বর ধারা অনুসারে আগেই নোরার বক্তব্য রেকর্ড করেছিল দিল্লি পুলিস। এই মামলায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে নোরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, অভিনেত্রী নোরা ফতেহি জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছেন তাঁকে একটি স্বেচ্ছাসেবী মূলক অনুষ্ঠানের জন্য তাঁকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। পরিবর্তে তাঁকে একটি গুচির ব্যাগ, আইফোন উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখরের স্ত্রী লীনা পল। এখানেই শেষ নয়, নোরা জানিয়েছেন, তিনি এবং চন্দ্রশেখর তাঁকে একটি BMW গাড়ি উপহার হিসাবে দেবেন।


আরও পড়ুন-মা হওয়ার পরও পেট বিন্দুমাত্র কমেনি, ছবি পোস্ট করে কী বললেন সোনম?



আরও পড়ুন-'না খেয়ে রোগা হয়ে গেছ', স্বল্পবসনা নুসরতকে লিখলেন নেট নাগরিকরা


এদিকে ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় ED-র চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। যদিও আদালত চার্জশিট গ্রহণ না করায় এখনও গ্রেফতার করা হয়নি জ্যাকলিনকে। তবে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে ভ্রমণের অনুমতি নেই অভিনেত্রীর। আগেই জানা গিয়েছিল যে অভিনেত্রী সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে অনেক দামি গয়না,  বিলাসবহুল গাড়ি এবং উপহার পেয়েছিলেন। জেলে থাকাকালীন সুকেশের সঙ্গে কথা বলারও অভিযোগ রয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও জ্যাকলিনের দাবি, তাঁর সমস্ত সম্পত্তিই কষ্টার্জিত। তাঁর সমস্ত FD নিজের রোজগারের টাকায় বলে জানিয়েছেন জ্যাকলিন। এমনকি সেগুলি যখন তিনি করেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে সুকেশের বিন্দুমাত্র যোগাযোগও ছিল না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। 


জ্যাকলিনের ম্যানেজার বলেন, 'ইডি যতবার তাঁকে ডেকেছে ততবারই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। এমনকী তাঁর কাছে যা যা কাগজপত্র ছিল, তা সবই জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এরপরও তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এই মামলায় ফেঁসেছেন অভিনেত্রী। সুকেশের এই তোলাবাজির মামলার শিকার তিনি। যদি এই অভিযোগ মেনেও নেওয়া হয় তাহলেও এই অভিযোগের ভিত্তিতে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দাঁড়ায় না।' অতীতেও জ্যাকলিনকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে তাঁর দাবি ছিল, তিনি এই মামলার একজন সাক্ষী। অভিনেত্রীর ম্যানেজার বলেছিলেন যে, ২০১৭ সালে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের যোগাযোগ হয় এবং তখন তিনি জ্যাকলিনকে বলেছিলেন যে তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার পরিবারের সদস্য।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)