নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার আতঙ্ক না কাটলেও, গোটা দেশ জুড়ে শিথিল হতে শুরু করেছে লকডাউন পর্ব। দেশের অন্য সব রাজ্যগুলির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও আনলক পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। সর্বত্র যথেচ্ছভাবে কাজ না হলেও, প্রস্তুতি শুরু হয়েছে একটু একটু করে। সেই তালিকা থকে বাদ পড়েনি টেলি দুনিয়াও। রিয়েলিটি শো কবে থেকে শুরু হবে, তা অজানা থাকলেও, সিরিয়ালের শ্যুটিং শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন :  দীপিকার নিরাপত্তা রক্ষী জালাল-এর মাসিক বেতন কত জানেন!


বৃহস্পতিবার ইন্দরপুরি স্টুডিয়োতে শুরু হয় রাণী রাসমণি-র শ্যুটিং। যেখানে শট শেষ হলে, দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে বসে থাকতে দেখা যায় কলা-কুশলীদের। রাণী রাসমণি-র পাশাপাশি অন্য মেগার শ্যুটিংও শুরু হচ্ছে ক্রমশ। শ্যুটিংয়ের সময় নির্দিষ্ট বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো কোভিড আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে শিল্পীদেরও। এবার সেই আভাস দিলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কমল।


আরও পড়ুন : ২০১৭ সালে বিয়ে করেন মোনালি ঠাকুর, ৩ বছর ধরে লুকিয়ে রাখেন গোপন সংসারের কথা


আনলক পর্বে শুরু হচ্ছে মহাপীঠ তারাপীঠ-এর শ্যুটিংও। যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন নবনিতা দাস। শ্যুটিং শুরু হওয়ার জন্য স্বস্তি মিললেও, জিতু চিন্তায় রয়েছেন নিজের স্ত্রী নবনিতার জন্য। কোভিডের আতঙ্ক নিয়ে শট শেষে নবনিতা কীভাবে মাস্ক পরবেন কিংবা কেউ মাস্ক ছাড়া তাঁর সামনে এগিয়ে এলে, কীভাবে সরে যাবেন বা তাঁকে ধমক দিয়ে সাবধান করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় জিতু। কারণ তাঁর স্ত্রী যে জোর গলায় একেবারেই কথা বলতে পারেন না কারও সঙ্গে।


নবনিতার সঙ্গে জিতু সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন বছরখানেক হল। তার মাঝেই গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনার চোখ রাঙানি, লকডাউন, ঘূর্ণিঝড় আমফান, প্রায় অনেক কিছুই একসঙ্গে দেখে ফেলেছেন টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় জুটি। ফলে লকডাউনের মাঝে স্ত্রী যাতে সুস্থ থাকেন, তার জন্য নবনিতাকে সব সময় চোখে চোখে রেখেছেন। মাস্ক পরতে বলেছেন, হাত ধুতে বলেছেন কিন্তু শ্যুটিং ইউনিটের মধ্যে নবনিতাকে এসব কে মনে করিয়ে দেবেন, তা নিয়ে চিন্তায় এই অভিনেতা।


দেখুন কী লিখলেন জিতু কমল...


 



পাশাপাশি শ্যুটিং শুরুর পর কাজ না করলে ওই মেগার সঙ্গে যুক্ত মানুষগুলোর পরিবারের কী হবে, তা ভেবে শঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিনেতা। আর সেই কারণেই মন শক্ত করেই স্ত্রীকে শ্যুটিংয়ের জন্য ছাড়তে হচ্ছে বলেও জানান জিতু।