Aindrila Sharma, Sabyasachi Chowdhury, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা নেটপাড়া।  সোমবার সকালে হাসপাতাল সূত্রে খবর ছিল, ঐন্দ্রিলার শরীরে রক্তচাপ, স্যাচুরেশন এবং অক্সিজেনের মাত্রাও এখন স্বাভাবিক। আপাতত ঐন্দ্রিলার জ্বর নেই। অভিনেত্রীর শরীরে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটা কমেছে। তবে এখনও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। স্নায়ুর সমস্যা আগের মতোই আছে। এখনও ভেন্টিলেশনের সিপ্যাপ মোডে আছেন তিনি। দুদিন আগে চিকিৎসকেরা ধীরে ধীরে ভেন্টিলেশন থেকে তাঁকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই শুক্রবার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছে নায়িকার। সোমবার বিকেলে এল সুখবর। সেই খবর জানালেন ঐন্দ্রিলার কাছের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Ranbir-Alia: প্রথমবার মেয়েকে কোলে নিয়ে কেঁদে ফেললেন রণবীর, চোখে জল আলিয়ারও


কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সবস্যাচী লিখেছেন, 'ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না অথবা ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না। আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি, সাক্ষাৎকার দিইনি, দেবও না। শুধু জেনে রাখুন, মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। এর অন্যথা কিছু হবে না।' কথা রাখার পথে একধাপ এগোলেন সব্যসাচী।


আরও পড়ুন- Mimi Chakraborty: নয়া ইনিংস শুরু মিমি চক্রবর্তীর...


সোমবার বিকেলে সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি। আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।’


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)