Aindrila Sharma : স্মৃতিতে বুঁদ, দিদি ঐশ্বর্যর ফেসবুক জুড়ে শুধুই ঐন্দ্রিলা
`আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে, শুধু তোমায় ভালোবেসে।` ২০২০-র সপ্তমী, সেবছর কোভিডের কারণে পুজোটা কমবেশি সকলেরই ঘরবন্দিই কেটেছে। সেই পুজোতেই নিজের ফ্ল্যাটে গান চালিয়ে নিজের `মনের মানুষ` সব্যসাচীর জন্য নেচে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। যে ভিডিয়োটি আজও তাঁর ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে।ঐন্দ্রিলা শর্মা আজ আর নেই। তবে প্রিয়জনদের কাছে তাঁদের হৃদয়ে অভিনেত্রী এখনও একই রকম রয়ে গিয়েছেন। ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতেই বুঁদ তাঁর পরিবার।
Aindrila Sharma, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : 'আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে, শুধু তোমায় ভালোবেসে।' ২০২০-র সপ্তমী, সেবছর কোভিডের কারণে পুজোটা কমবেশি সকলেরই ঘরবন্দিই কেটেছে। সেই পুজোতেই নিজের ফ্ল্যাটে গান চালিয়ে নিজের 'মনের মানুষ' সব্যসাচীর জন্য নেচে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। যে ভিডিয়োটি আজও তাঁর ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে। সোমবার, বোনের মৃত্যুর ঠিক একদিন পর সেই ভিডিয়োটিই ফেসবুক স্টোরিতে শেয়ার করলেন ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য শর্মা।
ঐন্দ্রিলা শর্মা আজ আর নেই। তবে প্রিয়জনদের কাছে তাঁদের হৃদয়ে অভিনেত্রী এখনও একই রকম রয়ে গিয়েছেন। ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতেই বুঁদ তাঁর পরিবার। সোমবার, তাই হয়ত স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে ছোট বোনের সেই পুরনো নাচের ভিডিটিই খুঁজে পেয়েছিলেন ওঁর দিদি ঐশ্বর্য। ঐন্দ্রিলার অনুরাগীদের জন্য সেটিই তিনি সোশ্যালে শেয়ার করেছেন। তবে শুধু নাচের ভিডিয়ো নয়। বোনের সঙ্গে তোলা কিছু মুহূর্তও জ্বলজ্বল করছে ঐশ্বর্যর ফেসবুক স্টোরিতে।
আরও পড়ুন- ঐন্দ্রিলার শেষকৃত্য সম্পন্ন, চোখের জলে মেয়েকে বিদায় দিল পরিবার
আরও পড়ুন-'পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহো ভাই, সবারে আমি প্রণাম করে যাই...'
শুধু তাই নয়, ঐশ্বর্য শর্মার ফেসবুকের ডিপিতেও উজ্জ্বল দুই বোনের ছবি। সেখানে ছোটবেলার একটি ছবি শেয়ার করেছেন ঐশ্বর্য। ক্যাপশানে ঐশ্বর্য লিখেছেন, 'আমার ছোট্ট বুনু..এইভাবেই সারাজীবন দুজন দুজনের হাত ধরে বেঁচে ছিলাম আছি এবং থাকবো...'।
প্রসঙ্গত, ২ বার ক্যানসার জয় করে ফিরে আসার পর ১ নভেম্বর রাতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। টানা ২০ দিন ধরে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন, তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে রবিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। রবিবার সকালে পর পর বেশ কয়েকবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ঐন্দ্রিলার। চিকিৎসকরা সিপিআর দিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর এবার চিকিৎসকদের চেষ্টায় সাড়া দেননি 'ফাইটার' ঐন্দ্রিলা। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও ঐন্দ্রিলার পাশে তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন তাঁর ভালোবাসার মানুষ সব্যসাচী চৌধুরী। যাঁকে কিনা ঐন্দ্রিলা নিজের জীবনের 'লাইফলাইন' বলতেন। নিজের শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও লিখেছিলেন, সব্যসাচীই তাঁর বেঁচে থাকার কারণ।