প্রযোজক হেনস্থা করার পর রাই-ই শুধু পাশে ছিলেন, বললেন ফ্লোরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোশির হাতে মার খেয়েছেন তিনি। সম্পর্কে থাকাকালীন গৌরাঙ্গের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় বয়ফ্রেন্ডের হাত মারধর খেতে হয়েছে তাঁকে। বিষয়টি জানাজানি হওয়া সত্ত্বেও রুপোলি জগতের কেউ কখনও মুখ খোলেননি। প্রতিবাদও করেননি। একমাত্র ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকেই পাশে পেয়েছিলেন তিনি। ‘মি টু ক্যাম্পেইন’ শুরু হওয়ার পর সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেন বলিউড অভিনেত্রী ফ্লোরা সাইনি।

বলিউডে ‘মি টু ক্যাম্পেইন’ শুরু হওয়ার পর একের পর এক অভিনেত্রী যখন মুখ খুলছেন, সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল ফ্লোরা সাইনির নামও। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেন, প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোশির সঙ্গে ‘ডেট’ করার সময়ই বয়ফ্রেন্ডের হাতে মারধর খান তিনি। যার ফলে প্রযোজক বন্ধুর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদও হয়ে যায়। কিন্তু, ওই সময় কেউ গৌরাঙ্গের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। তাঁর উপর অত্যাচার হয়েছে, এই খবর পাওয়ার পরও মুখে কুলুপ এঁটে থাকে বলিউড। শুধুমাত্র রাই-কে পাশে পেয়েছিলেন তিনি।

ফ্লোরার উপর শারীরিকভাবে যেমন নিগ্রহ করা হয়েছে, তা অনুচিত বলেই গৌরাঙ্গের প্রজেক্ট বাতিল করেন রাই। যা তাঁর কাছে অনেক বড় পাওনা ছিল। এমনকী যে ব্যক্তি কোনও অভিনেত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেন, তাঁর প্রজেক্টে কাজ করা কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলেও স্পষ্ট জানান রাই সুন্দরী।

গৌরাঙ্গ দোশির প্রজেক্ট রাই বাতিল করার পরই ফ্লোরাকে হুমকির মুখোমুখি হতে হয় বলে অভিযোগ। ফ্লোরার কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি একটি বিধ্বস্ত মুখের ছবি দিয়ে ফ্লোরা তাঁর উপর হওয়া হেনস্থা নিয়ে মুখ খোলেন। যে ছবিতে ফ্লোরার চোখের নীচে কালশিটে পরে থাকতে দেখা যায়। থুঁতনিতেও দেখা যায় আঘাতের চিহ্ন। আর ফ্লোরার এই ছবি দেখার পর থেকেই ফের শোরগোল শুরু হয়।

এদিকে ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে সলমন খানের বিচ্ছেদের পর বলিউডে জোর শোরগোল শুরু হয়। রাই অভিযোগ করেন, সলমন নাকি তাঁকে মারধর করেছেন এক সময়। এমনকী, সলমনের মারের দাগ তাঁর পিঠ থেকে মিলিয়ে যায়নি বলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে ফুঁসে ওঠেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।

ঐশ্বর্যের ওই অভিযোগ নিয়ে যখন তোলপাড় হয়ে যায় বলিউড, সেই সময় একটি সাক্ষাতকারে হাজির হন সলমন খান। ঐশ্বর্য যে অভিযোগ করছেন, তা কতটা সত্যি বলে জিজ্ঞাসা করা হয় ‘ভাইজান’-কে। যার উত্তরে প্রথমে হেসে ফেলেন তিনি। এরপর বলেন, তিনি যদি ঐশ্বর্যর গায়ে হাত তুলতেন, তাহলে তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারতেন না। সলমনের ওই পুরনো ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর আরও একদফা শোরগোল শুরু হয়।