নিজস্ব প্রতিবেদন:  পরিচালক মহেশ ভাটের দুই মেয়ে পূজা ভাট ও আলিয়া ভাটের বয়সের পার্থক্য বিস্তর। পূজা ভাটের বয়স যেখানে ৪৬ সেখানে আলিয়ার বয়স মাত্র ২৫। এই দুই ভাট কন্যা এক্কেবারেই দুই প্রজন্মের বললেও ভুল হবে না। বলিউডে এই দুই অভিনেত্রীর কেরিয়ারও শুরু হয় এক্কেবারেই দুটি ভিন্ন সময়ে। ১৮৮৯ সালে মহেশ ভাটের প্রযোজনা সংস্থার ছবি 'ড্যাডি'র মাধ্যমে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বলিউড যাত্রা শুরু করেছিলেন পূজা ভাট। অন্যদিকে, তার প্রায় এক দশক পরে ২০১২ সালে করণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থার ছবি 'স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার' ছবির মাধ্যমে আলিয়া ভাটের বলিউড যাত্রা শুরু হয়। তবে এই দুই প্রজন্মের দুই অভিনেত্রীকে একসঙ্গে পর্দায় দেখা যায়নি কখনও। পূজা ও আলিয়াকে একসঙ্গে পর্দায় দেখার কথা হয়ত দর্শকও কখনও ভাবতে পারেনি। তবে এবার সেই কাজটাই করতে চলেছেন বাবা মহেশ ভাট নিজে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিচালনা থেকে মহেশ ভাট অবসর নিয়েছেন বহুদিন আগে। তবে টানা ১৯ বছর পর সেই অবসর ভেঙে ফের পরিচালনার ফিরছেন মহেশ ভাট। সৌজন্য, ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পূজা ভাট ও সঞ্জয় দত্তের হিট ছবি 'সড়ক' এর রিমেক। ২০ সেপ্টেম্বর বাবা মহেশ ভাটের জন্মদিনেই তাঁর 'সড়ক ২' এর পরিচালনার কথা ঘোষণা করেন পূজা ভাট। ১৯৯১ সালে সড়ক ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল পূজা ভাট ও সঞ্জয় দত্তকে। 'সড়ক ২' ছবিতেও আবারও দেখা যাবে এই জুটিকে। পাশাপাশি এই ছবিতে দেখা যাবে আলিয়া ভাট ও আদিত্য রয় কাপুরকে।  ২০১০ সালে মুক্তি পাবে সড়ক ২। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিশেষ ভিডিওর মাধ্যমে একথা ঘোষণা করেছেন পূজা ভাট।



আর এই ছবির হাত ধরেই বাবা মহেশ ভাট ও দিদি পূজা ভাটের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করতে চলেছেন আলিয়া। সড়ক ২ এর ঘোষণার পাশাপাশি মহেশ ভাট সম্পর্কে বিশেষ কিছু কথা শেয়ার করেছেন পূজা ও আলিয়া। আলিয়ার কথায়, বাবা মহেশ ভাটকে কখনও কখনও ভীষণ ভয় লাগে। আর পূজা ভাটের কথায়, বাবা মহেশ ভাট কীভাবে যেন তাঁর মনের সব কথা আগে থেকেই বুঝতে পেরে যান।পূজার কথায়, শ্যুটিং সেটে তিনি বাবা মহেশ ভাটকে সবসময় একজন শিক্ষকের মতো করেই পেয়েছেন। শ্যটিং সেটে তিনি (মহেশ ভাট) সবসময় বলতেন তুমি ঠিক যেমন পৃথিবী ঠিক সেভাবেই তোমাকে গ্রহণ করবে, তার জন্য আলাদা কিছু করার দরকার নেই।


আলিয়া আবারও বলেন ''দিদি পূজা ভাটের মতো আমার-বাবার সম্পর্ক এক নয়। আমি কখনওই ভাবিনি অবসর ভেঙে বাবা আবার পরিচালনায় আসবেন। আসলে আমি যখন খুব ছোট তখন বাবাকে সব সময়ই ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। এখন আমি কাজ করছি। তবুও বাবার সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক রয়েছে তা আমার প্রতি তাঁর বিশেষ নজর অপত্য স্নেহ, ভালোবাসার জন্য। '' আলিয়ার কথায়, বাবা (মহেশ ভাট) ছাড়া সড়ক ২ আর কেউ বানাতে পারতো বলে আমার মনে হয় না। বরং আমার তো কখনও কখনও নিজের জীবনের প্রতি ভয় হয়, মনে হয় যদি আমার জীবন এভাবে আবেগতাড়িত পথে এগোতে থাকে তাহলে আমার আরও একবার মরে গিয়ে নতুন করে জন্ম নিতে ইচ্ছা করবে।