নিজস্ব প্রতিবেদন : ৪৩ বছরের পুরনো সেই গুলমোহর (কৃষ্ণচূড়া) গাছ। যে গাছটি নিজের হাতে বসিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চনের বাবা, কবি হরিবংশ রাই বচ্চন ও মা তেজি বচ্চন। শনিবার প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে পরিবারের স্মৃতি বিজরিত সেই গাছটি। তবে এই গাছটির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বচ্চন পরিবারের বহু স্মৃতি। সেসমস্ত কথাই নিজের লেখায় তুলে ধরেছেন বিগ বি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গাছটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানান স্মৃতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, ''১৯৭৬ সালে আমাদের এই প্রজন্মের কেনা প্রথম বাড়ি। আজ বাড়িটি তাঁর নিজের নামেই পরিচিত। বাড়ির উত্তরে ফাঁকা বাগানে গাছটি লাগানো হয়েছিল। আমরা যখন তাঁকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসি, তখন বাবুজি এসে বাড়িটি প্রথম দেখেন। পরবর্তীকালে মা আমাদের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন। বাড়ির নাম দিয়েছিলেন প্রতীক্ষা। এই নামটিও এসেছিল তাঁর নিজের লেখা থেকেই। স্বগত সাবকে লিয়ে ইয়া পর, না কিসী কে লিয়ে প্রতীক্ষা।''


আরও পড়ুন-সুশান্তের বাবার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট কে খুলল? উঠছে প্রশ্ন



আরও পড়ুন-একদিন আগে মা-কে হারিয়ে পরদিন সকালেই শ্যুটিং সেটে কাঞ্চন মল্লিক



আরও পড়ুন-সুশান্ত 'দিল বেচারা'র শ্যুটিং সেটে সবথেকে বেশি 'ওমলেট ও চিজ' খেয়ে নিতেন: সঞ্জনা


অমিতাভ বচ্চনের কথায়, ''ছেলেমেয়েরা এই গাছের চারপাশেই বড় হয়ে উঠেছে, এমনকি নাতি নাতনিরাও। জন্মদিন হোক কিংবা বাড়ির অন্য কোনও অনুষ্ঠান, এই গুলমোহর গাছটি সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হত। প্রতি গ্রীষ্মে এই গাছটিতে উজ্জ্বল কমলা রঙের ফুল হত। এমনকি ছেলেমেয়েদের বিয়েও হয়েছে এই গাছের সামনেই আর এটি অভিভাবকের মতো সামনে দাঁড়িয়ে থেকেছে। বাড়ির প্রবীণরা মারা যাওয়ার পর গাছটি শাখাগুলিও যেন শোকে মাথা নত করে নিয়েছে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর স্মরণসভা থেকে হোলিকা দহন, হোলি, দীপাবলির আলোকসজ্জা সবই হয়েছে এই গাছের তলায়। এমনকি সত্যনায়ারণ পুজোও। ''