নিজস্ব প্রতিবেদন:  টলিপাড়ায় দলবদলের হিড়িক। এর মাঝে সবথেকে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে রুদ্রনীল ঘোষের বিজেপিতে যোগদান। শনিবার দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে BJP-তে যোগ দিন রুদ্রনীল। ফিরে এসে জানান, টলিপাড়ার একদল অভিনেতা পা বাড়িয়েই আছেন। টলিপাড়ার এই দলবদলকে কীভাবে দেখছেন অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষরা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়: বামপন্থীদের লোভ, ভয়টা কম। টলিপাড়ায় যে দলবদল চলছে এসবের মধ্যে আমরা নেই। আমরা কূটনীতিতে বিশ্বাস করি না। রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকবে। বামপন্থীদের এই মতাদর্শ সুঠাম। আমরা দলবদলে বিশ্বাস করি না।


অনীক দত্ত:  এই বিষয়টা সবাই যেভাবে দেখছেন, আমিও তাই দেখছি। যাঁর নাম আলোচনায় আসছে তাঁর মানসিকতাই এইরকম। বিভিন্ন সময়ের সুবিধাবাদীর প্রতিভূ এমন বেশ কয়েকজন রয়েছেন। তাঁরা গুণী মানুষ। ২০১০ সাল থেকেই দেখে আসছি। তখন ভেবেছিলাম হয়ত তাঁদের কথার সত্যিই সারবত্তা আছে। এখন দেখছি সুবিধাবাদী। এইরকম মানুষ চিরকালই ছিলেন। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোক কম, যাঁরা আছেন তাঁরা দীপ্ত ভাবে কথা বলছেন।


বাদশা মৈত্র: যাঁরা দলবদল করছেন, তাঁরা বলছেন মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এই যে যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৩০০ দিন পার করল। টালিগঞ্জ থেকে খুব বেশি দূরে নয়, তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে এখানে কি একদিনও এসেছিলেন? গোটা রাজ্য জুড়ে শ্রমজীবী ক্যান্টিন চলছে, কোথাও যাননি। যাঁরা দলবদল করছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থে করছেন, তাঁদের নিয়ে কিছু বলার নেই। 



আরও পড়ুন-এই সময় ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ, বামপন্থী সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে হবে: Tarun Majumdar


দেবদূত ঘোষ: সঠিকভাবে জানি না, কী ধরনের মানুষের কাজে রুদ্রনীল যুক্ত জানি না। আমি যে বামপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী, তাঁরা খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে, ছাত্র আন্দোলনের কথা বলে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তাঁরা যুক্ত। তার পরম্পরা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। রুদ্র যদি এধরনের কাছে যুক্ত হয় শুভেচ্ছা থাকবে। টলিউডে এই সব শিবিরের প্রতি আমার শ্রদ্ধা নেই।


রবিবারই দিল্লিতে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন রুদ্রনীল ঘোষ। প্রসঙ্গত, একসময় বামপন্থী রাজনীতি করতেন রুদ্রনীল। পরবর্তীকালে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সরাসরি TMC-তে যোগ না দিলেও তৃণমূল সরকার তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে নিয়োগ করে।