``ঘুম ভাঙতেই অপ্রত্যাশিত ফোন, মৃৃত্যুর খবর শুনেই মনে হল আমি শেষ``, বললেন অঙ্কিতা
সেবিষয়ে বৃহস্পতিবারই একটি সর্বভারতীয় সংবাদ চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে মুখ খোলেন অঙ্কিতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্তের মৃত্যুর পর চুপই ছিলেন, তবে অবশেষ মুখ খুললেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডে। আচমকা সুশান্তের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঠিক কী অবস্থা হয়েছিল তাঁর? সেবিষয়ে বৃহস্পতিবারই একটি সর্বভারতীয় সংবাদ চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে মুখ খোলেন অঙ্কিতা।
অঙ্কিতার কথায়, ''ঘুম থেকে উঠেই একটা অপ্রত্যাশিত খবর। একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন এল। আমি ফোন ধরার পরেই এক সাংবাদিক আমায় বললেন, অঙ্কিতা! সুশান্ত আত্মহত্যা করেছে। আমি তখন শেষ। এটা এমন একটা খবর, যেটা কখনও আপনি ভাবতেও পারেননি। আমার কাছে এটা মানা খুবই কঠিন, হয়ত সবার কাছেই...। আমি দৌড়ে বাইরে বের হয়ে আসি। আমার মা সেখানে ছিলেন। তারপর দেখি সব খবরের চ্যানেলে একই খবর। সব শেষ। সুশান্ত আর নেই। আত্মহত্যা করেছে। এটাই হেডলাইন। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না, যে কী করা উচিত।''
আরও পড়ুন-''আমি জোর গলায় বলছি, সুশান্ত অবসাদগ্রস্ত ছিল না'', প্রকাশ্যেই এবার মুখ খুললেন অঙ্কিতা
আরও পড়ুন-অঙ্কিতা লোখান্ডের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল বিহার পুলিস
অঙ্কিতা বারবার বলেন, ''সুশন্ত এমনটা করার ছেলেই নয়। ও ছোট ছোট জিনিসে নিজের আনন্দ খুঁজে নিত। বাচ্চাদের পড়াত, খাবার দেখে খুশি হয়ে যেত। আমার এখনও মনে পড়ে গুলাব জামুন দেখে ও কীভাবে খুশি হয়ে যেত। ও বলত, অঙ্কিতা একান্তই কিছু না হলে শর্ট ফিল্ম করব, চাষাবাদ করবো। সেই ছেলে এটা করতেই পারে না।''
প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পর বহুদিন কথা বলার পরিস্থিতিতে ছিলেন না অঙ্কিতা লোখান্ডে। তিনি শুধুই কেঁদে চলেছিলেন বলেন জানিয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। নিজেকে বাড়িতে বন্দি করে ফেলেছিলেন। এদিকে বৃহস্পতিবারই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বিহার পুলিস বৃহস্পতিবার অঙ্কিতার মালাডের ফ্ল্যাটে পৌঁছোয়, ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সুশান্তের দিদি, রাঁধুনিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।