Anubrata Mondal Daughter: জন্মাষ্টমীর মুখে হঠাৎ হিট কেষ্ট-কন্যার নাচ, বড়লোকের বিটি লো...
Anubrata Mondal Daughter: ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় সাড়া ফেলেছে সেই ভিডিয়ো। সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়েছে ভিডিয়ো। কমেন্ট সেকশন জুড়ে সমালোচনার ঝড়। প্রসঙ্গত, বুধবার হাইকোর্টে সুকন্যা মণ্ডল সহ ৬ জনের হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার। একইসঙ্গে টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র পেশ করার নির্দেশও প্রত্যাহার। নির্দেশ প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
Anubrata Mondal Daughter, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনুব্রত মন্ডলের গ্রেফতারির পরেই তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাড়ি যায় সিবিআই, কিন্তু প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ সে। টেট দুর্নীতিতে জড়িয়ে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এই মর্মে আদালতে একটি অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেন মামলাকারীর আইনজীবী। বুধবার হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সুকন্যার একটি রিল। বাদশার ব়্যাপে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘বড়লোকের বেটি লো’। সেই গানের ভিডিয়োতে ঝড় তুলেছিলেন জ্যাকলিন ফার্ণান্ডেজ। সেই সময় সেই গান ভাইরাল হয়েছিল নেটপাড়ায়। সেই গানের তালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল বানিয়েছিলেন সুকন্যা। সম্প্রতি তাঁর নাম খবরের শিরোনামে উঠে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। নীল শাড়িতে গেন্দা ফুল গানে নাচছেন সুকন্যা। ২০২০ সালের ১০ জুন ফেসবুকে তাঁর প্রোফাইলে তিনি শেয়ার করেছিলেন নিজের নাচ ৷
আরও পড়ুন: Shakib Khan: ৯ মাস পর আমেরিকা থেকে ফিরেই ভুল ইংরাজিতে কথা, সমালোচনার মুখে শাকিব
ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় সাড়া ফেলেছে সেই ভিডিয়ো। সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়েছে ভিডিয়ো। কমেন্ট সেকশন জুড়ে সমালোচনার ঝড়। প্রসঙ্গত, বুধবার হাইকোর্টে সুকন্যা মণ্ডল সহ ৬ জনের হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার। একইসঙ্গে টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র পেশ করার নির্দেশও প্রত্যাহার। নির্দেশ প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বুধবারের অতিরিক্ত হলফনামাটিও জমা নেননি বিচারপতি। নির্দেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'আমার শরীর ভালো না। আসতাম না। কিন্তু না আসলে অনেকে ভাবত আমি ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছি। তাই আসলাম।' প্রসঙ্গত, টেট দুর্নীতিতে জড়িয়ে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এই মর্মে আদালতে একটি অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেন মামলাকারীর আইনজীবী।
পূর্ব অভিযোগগুলিকে সামনে রেখে নতুন করে আবেদন জানানো যাবে, নতুন করে মামলা করা যাবে। প্রসঙ্গত, টেট পাসই করেননি অনুব্রত কন্য়া সুকন্যা মণ্ডল! অথচ পাস না করেই বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই চাকরিতেও বাড়ি বসেই বেতন পেতেন সুকন্যা মণ্ডল! কোনও ডিউটি করতেন না। কোনও ক্লাস নিতেন না। একদিনের জন্যেও স্কুলে যাননি তিনি। একদিনের জন্য ছাত্র পড়াননি তিনি। অভিযোগ এমনই। তাহলে কীভাবে স্কুলে তাঁর উপস্থিতি নথিভুক্ত হত? যার ভিত্তিতে তিনি বেতন পেতেন! সেখানেও সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ!
স্কুলের তরফেই নাকি উপস্থিতির রেজিস্টার নিয়ে যাওয়া হত অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। তিনি সেই খাতায় শুধু সই করে দিতেন। এভাবেই চাকরি করতেন কেষ্ট-কন্যা। বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়। ২০১২ সালে টেটের পর এই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়েই চাকরিতে যোগদান করেন সুকন্যা। যদিও তিনি টেট-ই দেননি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, যোগদানের পর থেকে আর বিদ্যালয়েই যাননি তিনি। অভিযোগ, শুধু মেয়ে সুকন্যা নন, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জনের চাকরি হয়। যাঁর মধ্যে আছেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো সুমিত মণ্ডল ও সাত্যকি মণ্ডল, তাঁর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী ও সুজিত বাগদি। এই ইস্যুতেই সুকন্যা মণ্ডল সহ ৬ জনকে বৃহস্পতিবার তাঁদের টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র নিয়ে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।