Asha Parekh-Dada Saheb Phalke Award: অতীত হয় না আশা! ৬০-৭০এর `হিট গার্ল` ফিরলেন এদিনের দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে
Asha Parekh-Dada Saheb Phalke Award: তিনি হিট গার্ল!নায়কনির্ভর হিন্দি সিনেমার পৃথিবীতে আশা সেদিন হয়ে উঠেছিলেন স্বতন্ত্র নক্ষত্র। সেই দীপ্তি আজও আগলে রেখেছে সিনেমার ইতিহাস। এবার তাঁকেই সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান।
Asha Parekh, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি 'দ্য হিট গার্ল'। স্মৃতিকথনের এমন নামকরণই বুঝিয়ে দেয়, সিনেদুনিয়ায় ঠিক কোন স্থানাঙ্কে তাঁর অবস্থান ছিল। ছিল কেন, বরং বলা যায় আছে। বর্তমান একদিন অতীত হয়, সে তো সত্যি। সময় বদলায় কিন্তু কে বলবে, আশা পারেখ নামের সেই পর্দার ইন্দ্রজাল অতীত হয়েছে! বরং কয়েক দশক পেরিয়েও দর্শকমনে আশা থেকে গিয়েছেন আশাতীত ভাবেই। এবছর দাদাসাহেব ফালকে সম্মান মনে করিয়ে দিল সেই কথা।
পড়ুন আমাদের উৎসব স্পেশাল ই-ম্যাগাজিন
মঙ্গলবার তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা যায় যে এবছর কাকে সম্মানিত করা হবে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে। ভারতীয় ছবির সেরা এই সম্মান এবছর পেতে চলেছেন অভিনেত্রী আশা পারেখ। মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, দাদা সাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড ২০২০ প্রদান করা হবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আশা পারেখকে। ৯৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল, টানা চার বছর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ভারতীয় সিনেমার এই সর্বোচ্চ সম্মান।’ পাঁচ সদস্যের টিম এবছর দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য আশা পারেখের নাম মনোনীত করেছেন। এই পাঁচজনের টিমে রয়েছেন হেমা মালিনী, পুনম ঢিলন, টিএস নাগাভারাণা, উদিত নারায়ন ও আশা ভোঁসলে।
আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু! সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি শাহরুখের
আশা পারেখ আসলে কোটি দর্শকের স্বপ্নলোকের চাবি। যে এনিগমার কাছে নতজানু ইন্ডাস্ট্রিও। ষাট, সত্তরের সেই সময়কালের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল। একদিক থেকে অতীতের মূল্যায়ন, জীবনের স্বপ্ন-আশা-ভরসার হিসেবনিকেশ। অন্যদিকে নতুন কিছু খুঁজে নেওয়া। সমাজজীবনে যখন এই রূপান্তর তখন ইন্ডাস্ট্রির ভিতরেও বদলের ফল্গু বইছে। ভারসাম্যের সেই খেলায় বাজিমাত করলেন আশা। সৌন্দর্য যদি আবিষ্ট করে, তবে তাঁর অসামান্য অভিনয় সবাইকে করল মন্ত্রমুগ্ধ। একই সঙ্গে তিনি বাণিজ্যসফলও বটে। একসময় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক দিয়ে তাঁকে ছবিতে রাখতেন প্রযোজকরা। সাধে কি আর তিনি হিট গার্ল!নায়কনির্ভর হিন্দি সিনেমার পৃথিবীতে আশা সেদিন হয়ে উঠেছিলেন স্বতন্ত্র নক্ষত্র। সেই দীপ্তি আজও আগলে রেখেছে সিনেমার ইতিহাস। সময় পালটেছে। দেহ-পট সনে নট সকলই যে হারাবে, সে তো সত্যি। আশাও অভিনয় থেকে সরেছেন। তবে দর্শক ভোলেননি তাঁকে। ভোলার কথাও নয়। কেননা আশা কখনও অতীত হয় না। আশা ফিরে আসে নতুন দিনের ভোরে। এবছরের দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে সেই আশারই জয়গান।