Azmeri Haque Badhon: `কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ ছাড়ার কথা বলছেন হিন্দু অভিনেত্রী!` রাগে ফেটে পড়লেন বাঁধন...
Bangladesh Protest: গত ১ আগস্ট সকালে ঢাকার ফার্মগেটে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, অত্যাচার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বাঁধন। সেই ভিডিয়ো ঘিরে এবার ছড়াল বিভ্রান্তি। তা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে (Bangladesh Quota Movement) যখন শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয় তখন শিক্ষার্থীদের সমর্থনে পথে নামেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন (Azmeri Haque Badhon)। গত ১ আগস্ট সকালে ঢাকার ফার্মগেটে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, অত্যাচার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বাঁধন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়ো নিয়ে ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যম মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে বলে দাবি করলেন অভিনেত্রী বাঁধন।
আরও পড়ুন- Sheikh Hasina: 'নির্বিচারে গণহত্যা'র দায়ে শেখ হাসিনা-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এবার খুনের মামলা...
বাঁধনের ছবি পোস্ট করে নাকি ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য, এমনই দাবি অভিনেত্রীর। বাঁধন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ভারতীয় কিছু ব্যক্তি বাঁধনের বক্তব্য দেওয়ার ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট পোস্ট করে তা নিয়ে সাম্প্রদায়িক ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে। ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয় যে অভিনেত্রী নাকি হিন্দু এবং কাঁদতে কাঁদতে নাকি বাংলাদেশ ছাড়ার কথা বলছেন। এর বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়েছেন অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার অভিনেত্রী বাঁধন সকাল ৯টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লিখেছেন, 'বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যম ও উগ্র ডানপন্থি গোষ্ঠীর নির্লজ্জ, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য হলাম। একজন গর্বিত বাংলাদেশি হিসেবে আমার দেশের সাম্প্রতিক ইস্যুতে প্রতিবাদ করেছি, যার ভিডিও শেয়ার করেছি। আমি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় এবং অত্যাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এটি আমার দেশ, আমরা এটি সংস্কার করতে সহায়তা করব। কিন্তু কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম ও প্রোপাগান্ডা যন্ত্রগুলো সেই বক্তব্যকে অন্যদিকে মোড় দিচ্ছে, মিথ্যা ছড়াচ্ছে এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করছে বাংলাদেশে। এমনকী তারা আমার ভিডিওকে কারসাজির মাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যাতে সহজেই ভুল তথ্য ছড়ানো যায়'।
বাঁধন আরও লিখেছেন, 'আমি ভারত সরকার ও জনগণকে এ ধরনের অনলাইন সন্ত্রাসবাদ ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান করছি। আমরা আমাদের বর্ণনা তাদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে দেব না এবং কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি করতে দেব না'। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বাঁধন জানিয়েছিলেন, তিনি যেদিন থেকে ছাত্রদের সমর্থনে আন্দোলনে মাঠে নামেন, ওই দিন থেকেই তাকে ফোনে, মেসেজে, ফেসবুকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। অ্যাসিড মারারও হুমকি দেওয়া হয়। তিনি ভয় পাননি। তিনি বলেন আন্দোলনের দিনগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের চোখে-মুখে যে আগুন তিনি দেখেছেন, তা থেকেই তিনি সাহস পেয়েছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)