Abu Hena Rony: আগুনে ঝলসেছে মুখ, জখম ফুসফুস, এখন কেমন আছেন আবু হেনা রনি?
Abu Hena Rony: পুড়ে গিয়েছিল গোটা মুখ, এখন সারা মুখে নতুন চামড়া। দিনের পর দিন নিজের মুখ দেখেননি আয়নায়, তবে মুখ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। যেভাবেই হোক ব্যথা কমুক, এটাই ছিল প্রার্থনা।
Abu Hena Rony, Bangladesh, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রায় এক মাস ধরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি মীরা মিরাক্কেল জয়ী কমেডিয়ান আবু হেনা রনি। বাংলাদেশে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন রনি। পুরে গিয়েছিল মুখ সহ শরীরের নানা অংশ। ফুসফুসের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। গলায়ও কিছুটা সমস্যা ছিল। এখন কেমন আছেন কমেডিয়ান? সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের নিজেই জানালেন তিনি।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
গত ১৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের গাজীপুরে পুলিস প্রশাসনের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই মোট ৫জন অগ্নিদগ্ধ হন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন মিরাক্কেল জয়ী বাংলাদেশের কমেডিয়ান আবু হেনা রনি। ঘটনার দিনই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় আবু হেনা রনিকে। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সার্জন এস এম আইউব হোসেন সংবাদমাধ্যমে জানান যে, বছর ৩৫-এর আবু হেনা রনির শরীরের ২৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এরপর তাঁকে হাই ডিপেনডেন্সি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়।
কী ঘটেছিল সেদিন?
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে রনি জানান, সেখানে প্রায় ১০০ গ্যাস বেলুন ছিল। বেলুনগুলো কিছুতেই উড়ছিল না। বেলুনে লোকাল গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল। যারা বেলুনগুলো বানিয়েছিল, তারা বলে গ্যাস বেলুনগুলো উড়ছে না কারণ এর সঙ্গে থাকা শুভ উদ্বোধন লেখা কাপড়টা ভারী। ওটা কাটার জন্য আশপাশে কিছু না পেয়ে দেশলাইয়ের আগুন দিয়ে কাটার চেষ্টা করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে সব বেলুনে বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন-Tollywood: অভিনেত্রীকে ‘কুপ্রস্তাব’-এর অভিযোগ! আইনি পদক্ষেপের পথে পরিচালক
সম্প্রতি আবু হেনা রনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আলহাম্দুলিল্লাহ, অনেকটা ভালো এখন। আকাশ দেখছি হাসপাতালে বসে। চারপাশের সুন্দর মানুষদের দোয়ায় এবং চেষ্টায় সুন্দর হয়ে উঠছে আমার চারিদিক। আপনাদের কথা কখনো যেন ভুলে না যাই। ভালোবাসা সবার জন্য।’ প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন রনি। তাঁর মুখে বসেছে নতুন চামড়া, প্লাস্টিক সার্জারির কারণে এখন বাড়ি ফিরলেও বিশেষ সতর্কতায় থাকতে হবে। শরীরে গরম, ধুলাবালি একদম লাগানো যাবে না। নিয়মিত ড্রেসিং চলছে তাঁর। সামান্য কিছু জটিলতা থাকায় আপাতত হাসপাতালে তিনি, তবে আগামী শনি বা রবিবারে হয়তো হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন, এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন চিকিৎকেরা। ফুসফুস জখম হয়েছিল, তারই প্রথম চিকিৎসা হয়, এরপর গলার সমস্যাও মেটে। মুখ প্রায় ঝলসে গিয়েছিল রনির, এখন মুখে পুরো নতুন চামড়া, খুব তাড়াতাড়িই আগের চেহারা ফিরে পাবেন, আশাবাদী তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে আবু হেনা রনি বলেন, ‘প্রায় ১২–১৩ দিন নিজের মুখটা ঠিকমতো দেখিনি। পুরো শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। ওই সময় নিজের চেহারা নিয়ে ভাবার মতো অবস্থায় ছিলাম না। বার্নের ব্যথা অন্যরকম। এই ব্যথা মেনে নেওয়ার মতো না। চাইছিলাম, যেকোনো মূল্যে ব্যথা আগে কমুক।’