একধাপে ৮০ বছরের বৃদ্ধে পরিণত হয়েছেন আবির, কিন্তু কীভাবে?
কীভাবে নিজেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ রূপে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন আবির?
নিজস্ব প্রতিবেদন: শরদিন্দুর 'রক্তের দাগ', 'বহ্নিপতঙ্গ', 'শজারুর কাঁটা', 'চোরাবালি', 'কহেন কবি কালিদাস', 'চিত্রচোর'-এর পর এবার 'বিদায় ব্যোমকেশ'। দেবালয় ভট্টাচার্যের এই ছবিতে একধাপে অনেকটা বৃদ্ধ ব্যোমকেশে পরিণত হয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ছবিতে দ্বৈত ভূমিকায় দেখা যাবে আবিরকে। একদিকে ব্যোমকেশ বক্সী ও অন্যদিকে তাঁর নাতি সাত্যকি বক্সি। এই দুই চরিত্রের মধ্যে বয়সের ফারাক বিস্তর। তাই দুটি চরিত্রে অভিনয় করা আবিরের পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। সত্যি বয়সটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল আবিরের কাছে। চিন্তা তো ছিলই। কিন্তু কীভাবে নিজেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ রূপে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন আবির? এবিষয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
আবিরের কথা বৃদ্ধ ব্যোমকেশ বক্সীর জন্য কৃত্রিম মেকআপ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এখানে মেকআপই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর ছবির জন্য বৃদ্ধ ব্যোমকেশের মেকআপ করেছেন মুম্বই থেকে আসা মেকাআপ শিল্পী ধননঞ্জয় প্রজাপতি ও তাঁর টিম। তবে আবিরের পক্ষেও এই মেকআপটা করা মোটেও সহজ ছিল না। শ্যুটিংয়ের প্রয়োজনে প্রতিদিন অতিরিক্ত সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় দিতে হত আবিরকে। সেই ওই সময়টা একটানা একচেয়ারে লক্ষ্মী ছেলের মতো বসে থাকা ছাড়া আর উপায় ছিল না আবির চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে। একই অবস্থা হত মেকআপ আর্টিস্ট ধনঞ্জয়েরও। তারপর সেই মেকআপ নিয়েই সট দিতে যেতে হত অভিনেতাকে। শ্যুটিংয়ের পরেও সেই একই অবস্থা। সবাই বাড়ি চলে গেলেও আবিরকে বসে বসে নাকি মেকআপ তুলতে হত। কী জ্বালাতন একবার ভাবুন?
আরও পড়ুন-অস্ট্রেলিয়ার চলচ্চিত্র উৎসবে দেশের পতাকা উত্তোলন করবেন রানি
সম্প্রতি SVF- এর ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করা হয়েছে সেই মেকআপের ভিডিও...
আরও পড়ুন-বিদায় বেলায় বাড়ি ফেরার ডাক ব্যোমকেশের