Bigg Boss-16 : `সাফল্য আমায় ধ্বংস করেছে, অহংকারী করে তুলেছে...`
`আমি জীবনে অনেক ওঠাপড়া দেখেছি। তবে গত ৪ বছর ধরে অনেক নিচে নেমে গিয়েছি। বাড়িতে থাকলে কর্মীদেরই ঘর মুঝতে, ঝাঁট দিতে, পরিষ্কার করতে বলি, তবে বিগ বসের ঘরে এগুলো নিজে করতে পারব, শিখতে পারব। এছড়া গত ৩০ বছর ধরে টেলিভিশনের দর্শকদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে, তবে এই ৪ বছরে আমি সেই সংযোগ হারিয়েছি, বিগ বস হল সেই প্ল্যার্টফর্ম যার মাধ্যমে আমি আবারও দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারব।`
Bigg Boss-16, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কে থাকছেন, কে থাকছেন না, ছিল নানান জল্পনা, অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১ অক্টোবর শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বিগ বস ১৬। বিগ বসের ঘরে ১৬ জন প্রতিযোগীকে স্বাগত জানিয়েছেন সলমন খান। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিতর্কিত নাম সাজিদ খান।বি-টাউনে যাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে #MeToo অভিযোগ রয়েছে, তাও আবার একধিক। আর তারপর থেকে গত ৪ বছর ধরে সাজিদের হাতে কোনও কাজ নেই বললেই চলে। শনিবার বিগ বসের দর্শকদের সঙ্গে প্রতিযোগী সাজিদের আলাপ করিয়ে দেন সল্লু। সাফল্য কীভাবে তাঁকে ধ্বংস করে দিয়েছে সেকথাই Bigg Boss-এসে জানান সাজিদ।
সাজিদ খান জানান, তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর কীভাবে সমস্ত কৃতিত্বই তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বিগ বসে এসে সাজিদ সলমনকে জানান, 'গত ৪ বছর ধরে বসে আছি। আমার হাতে কোনও কাজ নেই। তাই যখন বিগ বস ১৬-এর ঘরে আমায় আমন্ত্রণ জানানো হল, তখন মনে হল, না এবার ওই ঘরে যাই, নিজের জন্য কিছু শিখি এবং জানি।' সাজিদ আরও বলেন, 'আমি জীবনে অনেক ওঠাপড়া দেখেছি। তবে গত ৪ বছর ধরে অনেক নিচে নেমে গিয়েছি। বাড়িতে থাকলে কর্মীদেরই ঘর মুঝতে, ঝাঁট দিতে, পরিষ্কার করতে বলি, তবে বিগ বসের ঘরে এগুলো নিজে করতে পারব, শিখতে পারব। এছাড়া গত ৩০ বছর ধরে টেলিভিশনের দর্শকদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে, তবে এই ৪ বছরে আমি সেই সংযোগ হারিয়েছি, বিগ বস হল সেই প্ল্যার্টফর্ম যার মাধ্যমে আমি আবারও দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারব।'
আরও পড়ুন-'দাদুর পিসিমা স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন, তখন থেকেই পুজো শুরু'
সাজিদ বলেন, 'অনেক বড় বড় অভিনেতারা, যেমন অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ, মিঠুন চক্রবর্তী, জন আব্রাহাম, চিন্টুজী (ঋষি কাপুর), রীতেশ দেশমুখ, সইফ আলি খানের মতো তারকারা আমার পরিচালনায় অভিনয় করেছেন।' তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, 'সফলতা আমাকে অহংকারী করে তুলেছিল। কথায় বলে, ব্যর্থতা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়, কিন্তু আদপে সাফল্য আমাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্বীকার করতে অসুবিধা নেই, পরপর তিনটি ছবি হিট হওয়ার পর সেসময় আমি ভীষণই অহংকারী হয়ে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম আমি নির্ভুল, কখনও খারাপ ছবি আমি বানাতে পারি না, ঈশ্বর তখন আমার গালে চড় মারলেন। একটু নম্র হলাম, তবে তারপর আবারও একটা বড় থাপ্পড় খেলাম। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ল আমার হামসকল ছবি। মানুষের থেকে আমি মুখ লুকতে শুরু করলাম। এরপর হাউসফুল ছবিটা লেখা শুরু করি, রাত অবধি ছবিটার পরিচালনা করলাম, পরদিন সকালে ছবি থেকে আমায় সরিয়ে দেওয়া হল। ছআমার সমস্ত কৃতিত্ব কেড়ে নেওয়া হল। তখনই বুঝেছিলাম, এভাবেই ঈশ্বর বোঝাতে চেয়েছেন, যে আমাকে আরও ভালো মানুষ হতে হবে।'
সলমন সাজিদকে প্রশ্ন করেন, 'এখানে যখন অন্য সেলিব্রিটিরা আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন, তখন সেগুলো কীভাবে সামলাবেন?' উত্তরে সাজিদ জানান, 'আমি জানি না, এগুলো কীভাবে সামলাব? এমন অনেক ঘটনা ঘটে যে ঘটনাস্থলে প্রতিক্রিয়া দিলেও পরে সেগুলি নিয়ে খারাপ লাগে। যখন আমি আমারই পুরনো সাক্ষাৎকারগুলো দেখি, তখন ভাবি যদি সেসময়টা আবারও ফিরে যেতে পারতাম!' সলমন সাজিদকে তাঁর বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করলে সাজিদ জানান, তিনি বিয়ে করতে চান না।